Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুলিয়া থেকে অপহরণের ১১ দিন পর ব্যবসায়ী উদ্ধার, আটক ৩

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:২৬ পিএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে অপহরণের ১১ দিন পর অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে টাঙ্গাইলের গহিন জঙ্গলের ভিতর থেকে শিকল বাধা অবস্থায় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় অপহরণকারী চক্রের এক নারী সদস্যসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার ভোর রাতে টাঙ্গাইলের শফিপুর এলাকা থেকে অপহৃত ঐ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
অপহৃত জমি ব্যবসায়ী ইদ্রিস খান আশুলিয়ার দরজিপাড়া এলাকার সরল খানের ছেলে।

আটক অপহরণকারীরা হলেন- টাঙ্গাইলের শফিপুর দায়রাপুর গ্রামের মৃত সূর্যত আলীর ছেলে মো. রাজ্জাক, কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ওসমানপুর গ্রামের মালাল শেখর ছেলে এনামুল ও গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার হাতিমারা গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে মাজেদা বেগম।
অপহৃত ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, সিলেটে বেড়াতে যাবার কথা বলে ২০ বছরের পুরোনো বন্ধু রাজু তালুকদার গত ২৫ মার্চ রাতে নিয়ে অপহরন করে। ৯ জনের এ চক্রটি গত ১৫ দিন ধরে পরিকল্পনার পর অপহরন করে টাঙ্গাইলের শখীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে আটকে রাখে।
তিনি বলেন, তারা এরঅগেও রিমু নামে এক নারীকে দিয়ে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছি। ব্যর্থ হয়ে তারা সিলেটে যাওয়ার কথা বলে এভাবেই আমাকে অপহরন করে নিয়ে য়ায়। পরে ছেলে নাছিরের মুঠফোনে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
তিনি বলেন, যেখানে আমাকে আটকে রেখেছিল সিখানে বিদ্যুৎ ছিল না, সোলার প্যানেলের আলো জ্বলছিল। গহিন জঙ্গল। শিকল দিয়ে আমার হাত-পা বাঁধা ছিল। পাশেই তারা আমার জন্য কবর খুড়ছিল।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, আমরা পুলিশের দুইটি দল কাজ শুরু করি। একটি দল অপহরনকারীদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে সময় নিচ্ছে। অপর দলটি অপহৃতের খোঁজে কাজ করে। প্রথমে ইদ্রিসের বাড়িতে ভাড়া থাকে মাজেদা বেগমকে আটক করি। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকীদের সনাক্ত করি ও অভিযান চালাই। পরে ১১ দিন পর টাঙ্গাইলের শখীপুর থানার দায়রাপুর গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বনের ভিতরে রাজ্জাকের বাড়ি থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। তার হাত-পা লোহার শিখল দিয়ে বাঁধা ছিলো। ঘরটি দেখে মনে হয়েছে, বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
তবে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা রাজু ও মুন্নাসহ অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ