মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে ডিআরডিও-র বক্তব্য মেনে নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের মহাকাশ সংস্থা নাসা-র বক্তব্যকে খারিজ করে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বংস হওয়া উপগ্রহটির টুকরোগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই আবহমÐলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে। এই টুকরোগুলির ফলে মহাকাশে কোনও বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হবে না। গত ২৭ মার্চ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহাকাশে ভাসমান একটি উপগ্রহ ধ্বংস করে ভারত। অ্যা-স্যাট ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উঁচুতে কক্ষে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহটিকে ধ্বংস করেন ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের হাতে এই ক্ষমতা ছিল। এবার সেই ক্ষমতা এল ভারতের হাতেও।
সেদিনই জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্যের কথা ঘোষণা করে জানান, ভারত শান্তিকামী দেশ। ভারতের এই পরীক্ষার ফলে বিশ্বের কোনও দেশের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু পরীক্ষার পর থেকেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাÐজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমি বিশ্বের একাংশ। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, ভারতের পরীক্ষার ফলে মহাকাশে উপগ্রহের যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানকে আরও ঝুঁকিপ‚র্ণ করে তুলবে।
গত সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার কর্তা জিম ব্রিনডেনস্টাইন এক বিবৃতিতে জানান, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে মহাকাশে উপগ্রহটির অন্তত ৪০০টি টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ও সেখানকার বাসিন্দা নভোচারীদের জীবনের ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ বেড়ে গেছে।
পরদিনই নাসার এই দাবিকে উড়িয়ে দেন ডিআরডিও-র প্রাক্তন প্রধান ভিকে সারস্বত। তিনি বলেন, ভারত পৃথিবীর খুব কাছাকাছি কক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তাছাড়া এই সংঘর্ষের ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তার ভরবেগ এতই কম যে সেগুলি ৪৫ দিনের মধ্যে পৃথিবীর অভিকর্ষের ফলে বায়ুমÐলে প্রবেশ করে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ভারতের সাফল্যে ঈর্ষায় অহেতুক উৎকণ্ঠা তৈরি করছে নাসা।
এদিন ভারতের সেই দাবিকেই সত্যি বলে মেনে নিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর পেন্টাগন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই বায়ুমÐলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে কারো কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বলে রাখি, গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য চর উপগ্রহ ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চর উপগ্রহের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সামরিক ও অসামরিক তথ্য সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। অ্যা-স্যাট-এর সফল পরীক্ষার পর তেমন কোনো সন্দেহজনক উপগ্রহ ধ্বংস করতে পারবে ভারত। স‚ত্র : জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।