পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক থেকে ১ হাজার ৮০৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চের মধ্যে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আর এ অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রায় ৪৪ একর জমির দখল ফিরে পেয়েছে সওজ, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা।
আইন অনুযায়ী, মহাসড়কের মালিকাধীন জায়গায় বা ক্ষেত্রমতে মহাসড়কের ঢাল থেকে উভয় পাশে ১০ মিটারের মধ্যে অবৈধভাবে কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা যেমন হাটবাজার, দোকান ইত্যাদি নির্মাণ করা যাবে না। মহাসড়কে নিরাপদে মোটরযান চলাচল নিশ্চিত করতে অবৈধভাবে নির্মিত কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা তাৎক্ষণিক অপসারণের ক্ষমতা সওজ অধিদপ্তরকে দেয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে সওজের ঢাকা জোনে। ১৮ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঢাকা জোনের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক থেকে ১ হাজার ২১৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ২১ দশমিক ১৯ একর জমি উদ্ধার করেছে সওজ। উদ্ধারকৃত জমির বাজারমূল্য আনুমানিক ৯৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলেছে সওজের চট্টগ্রাম জোনে। ৩ মার্চ হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে অভিযান চালানো হয়। মহাসড়কটির ‘সরকারেরহাট বাজার’-এ অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয় ২০০টি পাকা, আধাপাকা ও টিনশেড স্থাপনা। উদ্ধার করা হয় চার একর জমি, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন সওজের কর্মকর্তারা।
ফেব্রুয়ারিতে খুলনা জোনের একটি জাতীয় ও একটি আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সওজ। এর মধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান পরিচালনা করা হয় ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে। খুলনার রূপসা ফেরিঘাট থেকে কুদির বটতলা অংশে ১৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধার হয় প্রায় সাত একর জমি।
১১ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানো হয় বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-মোড়েলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে। অভিযানে সাইনবোর্ড থেকে কালিকাবাড়ী বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের ২১৭টি পাকা-আধাপাকা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা ইট, বালি, পাথর ও গাছের গুড়ি অপসারণ করেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ অভিযানে অবৈধ দখলমুক্ত হয় সাড়ে ১১ একর জমি।
সওজ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মহাসড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, মহাসড়কের উভয় পাশের ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা তৈরির অনুমতি দেয়া যাবে না। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাতদিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।