পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পদ্মার বিষাক্ত ছোবলে জর্জরিত শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা। এর ভাঙন নিয়ে মানুষের ভাবনাগুলো এখন এমন, শরীয়তপুরের মানচিত্রে নড়িয়া উপজেলার চিহ্ন থাকবে তো! চোখের সামনেই একের পর এক বাড়ি, সড়ক, বাজার, মসজিদ, মন্দির, হাসপাতাল সবকিছু নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর নীরবে তাকিয়ে দেখছে নড়িয়াবাসী। তাদের এই নীরব দর্শকের মতো দেখে যাওয়াটা আজকালকের নয়। কিন্তু এবারের ভাঙন অতীতকে ছাপিয়ে গেছে। প্রায় ৭ বছর ধরেই চলছে পদ্মার অবিরত আঘাত। তথ্যমতে, গত সাত বছরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকা নদীতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে ২০১১-১২ থেকে ২০১৪-১৫ সময় পর্যন্ত নড়িয়াতে প্রতিবছরে গড়ে আধা কিলোমিটারের বেশি এলাকা ভাঙনের শিকার হয়। ২০১৭-১৮ সালের জুন পর্যন্ত ভেঙেছে প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটার আর সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই থেকে ভেঙেছে প্রায় ২.৫০ কিলোমিটারের মতো। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়েছে পাঁচ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও প্রায় ৮ হাজার পরিবার। নড়িয়ায় নদীভাঙনের সংকেত অনেক আগে থেকে দেওয়া হলেও গুরুত্ব সহকারে নদীভাঙন রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এর আগে নেওয়া হয়নি। কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও যথাযথ তদারকির অভাবে প্রকল্পগুলো কোনো কাজে আসেনি। অতি সম্প্রতি, নড়িয়া ও জাজিরাকে সর্বগ্রাসী পদ্মার ছোবল থেকে রক্ষা করতে এক হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শরীয়তপুরের মানচিত্র থেকে যাতে নড়িয়া হারিয়ে না যায়, সে জন্য প্রয়োজন প্রকল্পের অতিদ্রুত কার্যকর বাস্তবায়ন। এই প্রত্যাশায় রয়েছে স্থানীয় অধিবাসী।
রাজু আহমেদ
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা
ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।