নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবল ভক্তরা ইতোমধ্যে এল ক্ল্যাসিকোয় মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ থেকে বঞ্চিত। গত গ্রীষ্মে জুভেন্টাসে পাড়ি দেয়ার পর থকে লা লিগায়ও দেখা যাচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তাতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনার দ্বৈরথটাও হয়ে গেছে একপেশে। লিগ শিরোপার পথে রিয়ালের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে বার্সা। মেসিও পিচিচি ট্রফির পথে রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে ১১ গোলে।
বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই ফুটবল তারকার মুখোমুখি হওয়ার এখন একমাত্র মাধ্যম কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। চলতি মৌসুমে সেই সম্ভবনা এখনো টিকে আছে। দুই দলই প্রতিযোগিতার শেষ আটে উঠেছে। তবে ফাইনালের আগে তাদের দেখা হচ্ছে না।
দুজন যখন স্পেনে ছিলেন তখন তাদের দ্বৈরথ উপভোগ করত ফুটবল বিশ্ব। শুধু ভক্তরা নন, সেই দ্বৈরথ উপভোগ করতেন মেসিও। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। স্পেনে রোনালদোকে মিস করেন মেসি। আর্জেন্টিনার এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন অনেক কথাই বলেছেন পঁচ বারের বর্ষসেরা। স্প্যানিশ লিগ থেকে রোনালদোর চলে যাওয়া নিয়ে ৩১ বছর বয়সী বলেন, ‘আমি স্পেনে রোনালদোকে মিস করি। তাকে পাওয়াটা ছিল দারুণ ব্যাপার। যদিও তার হাতে শিরোপা দেখাটা আমার কাছে ছিল কঠিন। সে এখানে থাকলে আরো ভালো হতো। লা লিগার মর্যাদা বহুগুনে বেড়ে যেত।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দুজনের সম্ভব্য মুখোমুখি হওয়ার প্রশ্নে মেসি বলেন, ‘জুভেন্টাসকে আমি অনেক সম্মান করি। তারা অসাধারণ একটা দল এবং রোনালদোকে পেয়ে তারা আরো শক্তিশালী হয়েছে। আশা করি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আমরা মিলিত হব। এরপর যা ঘটার ঘটবে।’ আগামী ১০এপ্রিল শেষ আটের প্রথম লেগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে বার্সা। একই দিনে আমস্টার্ডামে আয়াক্সের মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। চোটের কারণ এই ম্যাচে রোনালদোর খেলার সম্ভবনা ক্ষীণ।
সময়ের সেরা ফুটবলার কে? এমন প্রশ্নে নিজেকে ও রোনালদোকে আলাদা রেখে নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে, এডেন হ্যাজার্ড, লুইস সুয়ারেজ ও সার্জিও আগুয়েরোকে বেছে নিয়েছেন মেসি, ‘এই সময়ে অনেক অসাধারণ খেলোয়াড় আছে। আমার কাছে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার, লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও আগুয়েরো ও এডেন হ্যাজার্ড। আমার মনে হয় এখন এরাই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। কাউকে বাদ দিতে চাচ্ছি না বা ভুলে যেতে চাচ্ছি না। আমি এই তালিকা থেকে নিজেকে ও রোনালদোকে সরিয়ে রাখছি। বিশ্বাস করুন, আমি সত্যি বলছি!’
লম্বা সাক্ষাতকারে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের হতাশার কথাও ব্যক্ত করেছেন মেসি। দেশের হয়ে তিন তিনবার ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফেরার দুঃস্মৃতি সব সময় তাড়া করে বেড়ায় বলে জানান তিনি। সেই সব ম্যাচ এখনো ঘরে বসে দেখেন, ‘আপনি কি জানেন, আমাদের খেলা ফাইনালগুলো কতবার ঘরে বসে দেখেছি? অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম গোল করার জন্য, সেগুলো দেখেছি একাকী। ওই সুযোগগুলোর কয়েকটা কাজে লাগাতে পারলেই হয়ে যেত (আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রফি জেতা)।’
গত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর ভিষন মুষড়ে পড়েছিলেন বলে জানান, ‘ বিশ্বকাপের পর কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা হতো না। মনে হতো, দরজা বন্ধ করে নিজের পরিবারের সঙ্গে চুপচাপ বসে থাকি। নিজের যন্ত্রণা নিজেই ভোগ করি। সবকিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে মন চাইত। বছরের পর বছর আমাদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে, আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো খেলা সত্তে¡ও। কারণ, আমরা কোনো ট্রফি জিতিনি। তিনবার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেছি।’
আর্জেন্টিনা দল নির্বাচনে তার ভূমিকার কথা গণমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে অনেকবার। তবে এসব গুঞ্জন মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেন ফুটবল জাদুকর, ‘আমার ওপরে যদি আসলেই ফেডারেশনের দায়িত্ব থাকত তাহলে আগুয়েরো প্রত্যেকটা ম্যাচ খেলত। স্কোয়াডের মধ্যে আমার নেতৃত্বের আরেকটা উপদল আছে বলে আমি বেশ অনেক দিন ধরেই শুনছি। সবাই মনে করে আমি আর্জেন্টিনার ফেডারেশন চালাই। পছন্দমতো খেলোয়াড় দিয়ে একাদশ সাজাই। এসব কথা শুনলে আমার খুব কষ্ট হয়। মানুষজন এমন কথাও বলে যে ফেডারেশনের মধ্যে আমার বাবার আলাদা ক্ষমতা আছে। এসব কথা কোনো ভিত্তি নেই। এসব কথাবার্তার কারণে আমার পরিবারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর্জেন্টিনায় আমার অনেক আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব রয়েছে, তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমার নামে যে যা খুশি বলে বেড়ায়, আর মানুষজন সেটা বিশ্বাসও করে। অনেক খারাপ লাগে আমার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।