গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে বিএনপি। র্যালিতে অংশ নেয়া দলের নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন। র্যালিপূর্ব উদ্বোধনী বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যদিকে র্যালিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সেটিকে জোরালো করেছেন। আর র্যালির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করেছেন রাজপথ। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ৩টায় স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের করে দলটির নেতাকর্মীরা। র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে পুলিশি বাধার মুখে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তাদের উপস্থিতিতে ফকিরাপুল থেকে নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত গোটা সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নেতাকর্মীরা লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড, জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ট্রাক ও ভ্যান গাড়ি নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এর মধ্যে মহিলা দলের নেত্রীরা লাল-সবুজের শাড়ি এবং মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা টুপি এবং গেঞ্জি পড়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতা, রক্ত দিয়ে রাখব’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত করে তোলেন তারা। বিএনপির এই র্যালিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে র্যালির প্রথমভাগ যখন শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ বেষ্টনীর কাছে আসে, তখন মিছিলের শেষ ভাগ ছিল কাকরাইলের নাইটেঙ্গেল রেস্তেরাঁর মোড়ে।
র্যালির শুরুর আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মানুষের মুক্তচিন্তা করার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা- সেই স্বাধীনতাকে আওয়ামী লীগ এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে হরণ করেছে।
তিনি বলেন, আজকে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমরা স্বাধীন নই, আমরা মুক্ত নই। একটা পাথর আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেই নেত্রীকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। আজকে আসুন, এই অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে দেশে যারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় তাদের আমরা অপসারিত করি। সব দলমত নির্বিশেষ ঐক্যসৃষ্টি করি। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। একই সাথে আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করি। আজকে এই দিনে এই হোক আমাদের শপথ ও অঙ্গীকার। র্যালি শুরুর আগে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।
র্যালিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিনুল হক, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, আবু আশফাক খন্দকার, কাজী আবুল বাশার, আসানউল্লাহ হাসান, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, সাইফুল আলম নিরব, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, আনোয়ার হোসাইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, জেবা আমিন খান, হেলেন জেরিন খান, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবুল কালাম আজাদ, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।