Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চলে গেলেন কন্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ৬:৫৩ এএম

কন্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে খবরটি নিশ্চিত করো হয়েছে। জানান হয়েছে, বারিধারায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় শাহনাজ রহমত উল্লাহ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায়। শিল্পী পরিচিতি পান ছোটবেলাতেই। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। সেই থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত নিয়মিত গান করেছেন। টেলিভিশনে গান গাইতে শুরু করেন ১৯৬৪ সাল থেকে। শাহনাজ রহমতুল্লাহ সত্তরের দশকে অনেক উর্দু গীত ও গজল গেয়েছেন। প্রখ্যাত গজলশিল্পী মেহেদী হাসানের কাছে গজল শিখেছেন তিনি।

১৯৭৩ সালে তিনি আবুল বাশার রহমতুল্লাহ সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক মেয়ে নাহিদ রাহমত উল্লাহ এবং এক ছেলে একে এম সায়েফ রহমত উল্লাহ। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ কন্ঠে এদেশের মানুষ শুনে এসেছেন কালজয়ী বেশ কিছু গান। একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, এক নদী রক্ত পেরিয়ে, আমার দেশের মাটির গন্ধে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে আমায় বল, সাগরের তীর থেকে, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, খোলা জানালা, পারি না ভুলে যেতে, ফুলের কানে ভ্রমর এসে ইত্যাদি তাঁর গাওয়া বিখ্যাত ক’টি গান।

বিয়ের পর তিনটি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেছিলেন শাহনাজ। খান আতাউর রহমানের সুরে ‘আবার তোরা মানুষ হ’, আলাউদ্দীন আলীর সুরে ‘সাক্ষী’ ও আনোয়ার পারভেজের সুরে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। এর মধ্যে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রে গাওয়া ‘সাগরের সৈকতে কে যেন দূর থেকে’ গানটির জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

তার ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন এদেশের প্রখ্যাত একজন সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন এদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহ’র গাওয়া চারটি গান স্থান পায়। এর মধ্যে আনোয়ার পারভেজের সুর করা দু’টি গান এবং খান আতাউর রহমান ও আবদুল লতিফের সুরে দু’টি গান রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্তেকাল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ