পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীমানা নির্ধারণ, বারবার নোটিশ ইস্যু, চ‚ড়ান্ত তালিকা তৈরি ও মিটিং সিটিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে যশোরের ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদের দখল উচ্ছেদ অভিযান। আজ হয়, কাল হয় এভাবে গড়িমসি করছে প্রশাসন। ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতা ইকবাল কবীর জাহিদ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যশোর জেলা প্রশাসনের প্রতি যশোরবাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ। অবৈধ দখল উচ্ছেদে কেন যে গড়িমসি করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি দেওয়ায় বহুদিন পর যশোরবাসীর প্রাণের দাবি ভৈরব নদ খনন শুরু হয়েছে। শহরের অংশ বাদে ভৈরব নদের দুইপাশে খনন চলছে। দখল উচ্ছেদ না হওয়ায় যশোর শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদ পুরো খনন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়ালের কাছে গতকাল ভৈরব নদ দখল উচ্ছেদ হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মাসের মধ্যেই দখল উচ্ছেদ হবে। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, আমি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দখল উচ্ছেদের ব্যাপারে এইমাত্র মিটিং করে বের হলাম। প্লান অব এ্যাকশন করা হয়েছে। এতোদিনে উচ্ছেদ না হওয়ায় আসলেই দৃষ্টিকটু হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ভৈরব নদ প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি এবং দখল উচ্ছেদে গড়িমসির ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় সোমবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায়। জানা যায়, ২০১১ সালে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে ভৈরব নদের দখলদার হিসাবে ১১৮ জনকে চিহ্নিত করে দফায় দফায় নোটিশ দেয়। নদের বাবলাতলা ব্রিজ থেকে বারান্দীপাড়া পর্যন্ত নদের দুইপাড়ে ন্যূনতম ৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত দখল হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তির মতো দখলদাররা প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। এমনকি বড় বড় অট্টালিকাও গড়ে তোলা হয়েছে। সর্বশেষ তালিকা অনেক কাটছাট করে ৮৭ জন দখলদার চিহ্নিত করা হয়। সেটিও এখন পর্যন্ত উচ্ছেদ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কত যে মিটিং সিটিং হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।