বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কর্মক্ষেত্রে কর্মীর পুষ্টির অভাব দূরীকরণে সরকার এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কর্মক্ষেত্রে কর্মীর পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা : পুষ্টি ভাত এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উপকারিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (এসআর) এশিয়া বাংলাদেশ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সরকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার খোলা বাজারে সুলভ মূল্যে (ওএমএস)-এর মাধ্যমে পুষ্টি চাল বিক্রির চিন্তা ভাবনা করছে। ওএমএস’র মাধ্যমে বর্তমানে বাজার ২৮ থেকে ২৯ টাকায় চাল বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার ভুর্তকি দিয়ে ১০ টাকায় ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে দিচ্ছে। যা বাজারে ৩০ টাকার উপরে। ২ কোটি পরিবার এর আওয়াতায় এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বৈঠকে এসএ’র এশিয়ার ডিরেক্টর ড. মাহফুজুল হক বলেন, পুষ্টি ভাত কার্যক্রমের (স্কেলিং আপরাইসফরটিফিকেশন) প্রাথমিক লক্ষ্য হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অপুষ্টি হ্রাস করনে তাদের মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ চাল বিতরণ করা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি হাতে নিয়ে কোম্পানিগুলো বিশেষ করে বস্ত্র শিল্পের মালিকরা কর্মক্ষেত্রে পুষ্টি চাল সরবরাহ করে সরকারের এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে। ডব্লিউএফপি’র প্রোগ্রাম প্রধান রেজাউল করিম বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য না থাকা এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার কম গ্রহণ করা বাংলাদেশের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পুষ্টি চালের উৎপাদন ও বিতরণ বেসরকারী খাতের আরো বেশি প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করতে ডব্লিউএফপি (বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি) বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিডব্লিউসিসিআই’র সহ-সভাপতি সাবিনা আলম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থান করেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পলিসি অফিসার তুবা খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইনভিশন গ্লোবাল কন্সাল্টিং লিমিটেডের পরিচালক রুবায়েত সারয়ার।
নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সাল থেকে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বলে আয়োজকরা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।