Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাজুক স্বভাব কর্মক্ষেত্রের অন্তরায় নয়

প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জীবনে সফল হওয়ার জন্য নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারাটা খুব জরুরি। সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলে নিজের মতামত জানানো চাকরি জীবনে খুব বেশি প্রয়োজন। কারো স্বভাব লাজুক হলে তা কি চাকরি জীবনে সমস্যা ডেকে আনে? আর এই সমস্যা পাশ কাটিয়ে চাকরি জীবনে সফলই বা হবেন কী করে?

প্রথম চাকরিতে ঢুকলে এ সমস্যা হতে পারে। নতুন মানুষ নতুন পরিবেশে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারার একটা ব্যাপার আছে। আপনার বস, আপনার কলিগ তারা সবাই অল্পেই বুঝে যাবে যে আপনি লাজুক। আপনাকে শুধু কাজের দ্বারা প্রমাণ করতে হবে যে, আপনি একটু আলাদা কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সিনসিয়ার।
অফিসে নতুন জয়েন করলে চেষ্টা করুন সবার সাথে আলাপ পরিচয় করে নিতে। লাজুক মানুষের জন্য এটাই একটা ভালো উপায় অস্বস্তি দূর করার। সবার সাথে একবারে কথা বলতে গেলে একটু অসুবিধা হতে পারে তাই একজন একজন করে কথা বলুন। কারো সাথে দুপুরের খাবারটা খেতে পারেন। এভাবে বন্ধুত্ব তৈরি করে নিন। এরপর বাড়ান যোগাযোগ। ছোটখাটো ইনফরমেশনের জন্য কলিগকে অহ্বান করতে পারেন। এভাবে তারা আপনার আপন হয়ে উঠবে। যার ফলে লজ্জা কম কাজ করবে।
অফিসের মিটিংয়ে সবাই কথা বলবে, আপনাকে জিজ্ঞেস করলে আপনি বলবেন ‘আমি আর কি বলব... এমনটা যেন না হয়। সচেতনভাবে মিটিংয়ে কথা বলুন। জড়তা কাটিয়ে উঠে মিটিংয়ে কথা বলতে পারলে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।
হাতে কাজ না থাকলে অফিস খুব বিরক্তিকর ঠেকে। তাই আপনার হাতের কাজ শেষ হয়ে গেলে চুপচাপ বসে না থেকে বসকে জানান। সময়ের আগে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করেছেন এটা জানলে আপনার বসও খুশি হবেন।
আপনি লাজুক বলে কথা কম বলবেন যা আপনার জন্য ভালো ফলও বয়ে নিয়ে আসতে পারে। অফিস পলিটিক্সে আপনি মাথা ঘামান না বা কারো সাতে-পাঁচে থাকেন না। এতে করে আপনার প্রতি ম্যানেজমেন্ট খুশি থাকবে। অফিসে নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারলে লাজুকতায় কোনো দোষ নেই।
স লাবিবা বেলা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাজুক স্বভাব কর্মক্ষেত্রের অন্তরায় নয়
আরও পড়ুন