Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্র ছাড়াই আমদানি করা চালান আটক

বেনাপোল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ৭:১১ পিএম

বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে কাগজপত্র ছাড়াই আমদানি করা জিলেট সেভিং ফোমের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। আজ বুধবার বিকেলে পন্য চালানটি বন্দরের ১ নং শেডের সামনে থেকে আটক করেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী।
কাস্টমস কমিশনার’র নির্দেশনা অনুযায়ী
ভারতীয় ট্রাক এনএল-০১ এসি-৬৬৫৪ নাম্বারে গার্মেন্টস’র চালানের সাথে ৬৫১ কার্টুন জিলেট শেভিং ফোম’র চালানটি কাগজপত্র ছাড়াই বন্দর থেকে খালাশের জন্য ২ দিন আপেক্ষা করে। কাস্টমসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্চ এন্ড ম্যানেজমেন্ট’র বিশেষ টিম (আইআরএম) ট্রাকটিকে নজরদারিতে রাখে সর্বক্ষন। পরে বিকেলের দিকে ভারতীয় ট্রাক সহ পন্যচালানটি আটক করা হয়।
নো-এন্ট্রির মাধ্যমে পন্য চালানটি চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয় বন্দরে। একটি চোরাচালানী চক্র এই চালানটির মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকার রাজস্ব ফাকি দেয়ার চেস্টা করছিল। ট্রাকটি ৯ নং শেডে কিছু পণ্য খালাস করে বাকী পণ্য নিয়ে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। ইতোমধ্যে আইআরএম টীম নিশ্চিত হয় যে ট্রাকে রক্ষিত অবশিষ্ট পণ্যের কোন কাগজপত্র নেই। পরবর্তীতে ড্রাইভার পরিস্থিতি টের পেয়ে ট্রাকটি বন্দরের ১ নং শেডের সামনে রেখে পালিয়ে যায়। এই শেডেই সার্বক্ষনিক রাখা হয় প্রোকটার এন্ড গ্যামবেল বাংলাদেশ প্রা: লি: এর আমদানি পন্য । স্থানীয় ট্রাক ড্রাইভারের সহয়তায় কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাকটি আটক করে কাস্টম হাউসে নিয়ে আসে।
আটককৃত পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাকটি ইনভেন্ট্রি করার লক্ষ্যে একটি টীম গঠন করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ট্রাকটি খোলা হয়। এতে চোরাচালানের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় আনীত ৬৫১ কার্টুনে মোট ৭৮১২ টি সেভিং ফোম পাওয়া যায়। যার শুল্কায়ন যোগ্য ওজন ৩২৬৫.৪১৬ কেজি। পরবর্তীতে ৯ নং শেডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ট্রাকটিতে একটি মেনিফেস্টের মাধ্যমে তিনটি পণ্যচালান আনা হয়।
আটককৃত পণ্যের প্রতিটি কার্টুনে শিপিং টু প্রোকটার এন্ড গ্যামবেল বাংলাদেশ প্রা: লি: লেখা স্টিকার ছিল। এভাবে একটি অসাধু চক্র অভিনব কৌশলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করছে। যার জন্য জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচেছ। কমিশনার অব কাস্টমস এর চৌকস আইআরএম টীম এই ধরনের রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২৪/৭ হিসেবে নিরলস কাজ করছে কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্মকর্তারা চোরাচালান রোধ, শুল্কফাঁকি উদঘাটন, অবৈধ ও ক্ষতিকর পণ্য বহনকারীদের সনাক্তকরণ এবং শুল্ক আহরণের ধারাকে অব্যাহত রেখে বৈধ বাণিজ্যকে উদ্ধুদ্ধকরণে প্রতিনিয়ত বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
আটককৃত ৩২৬৫.৪১৬ কেজি ফোম সহ ভারতীয় ট্রাকটি কাস্টমস আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে রাজস্ব ফাকির বিষয়টি তদন্ত করতে অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সংশ্লিস্ট আমদানিকারক ও সিএন্ড এফ এজেন্ট’র বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ