Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

৩১৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

তুরাগ ও বংশী নদীতে অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের অব্যাহত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল তুরাগ ও বংশী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ছোট-বড় ৩১৭টি অবৈধ স্থাপনা করা হয়। এছাড়া ভূমিদস্যুদের দখলে থাকা আরও দুই একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, গতকাল সকাল থেকে (১৯ তম দিনের মতো) দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম দিনের উচ্ছেদ শুরু হয়। গাবতলী ও আমিন বাজার ব্রিজ থেকে মিরপুর জহুরাবাদ পর্যন্ত নদীর উভয় তীরে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। অভিযানকালে দুটি দোতলা ভবন, ১৫টি এক তলা ভবন, ১৪টি সীমানা প্রাচীর, ৩৬টি আধাপাকা স্থাপনা ও ২৫০টি টং দোকানসহ মোট ৩১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও নদী তীরবর্তী ভূমিদস্যুদের দখলে থাকা দুই একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরের পর এক্সেভেটর নিয়ে আশুলিয়ার দিকে যাওয়ার সময় তুরাগ নদীর পালপাড়া অংশে ১৫/২০টি বাল্কহেড রেখে নদীপথ বন্ধ করে রাখা হয়। সংস্থাটির দাবি, নদী ভরাটকারীদের নির্দেশনায় উচ্ছেদ বাধাগ্রস্ত করতে এ কাজ করেছে চালকরা। তবে বাল্কহেড চালকদের দাবি, নদীতে নাব্যতা সঙ্কট থাকায় তারা এগুতে পারছিলেন না।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে তুরাগ নদের তীরে মিরপুর বেড়িবাঁধ, জহুরাবাদ এলাকা থেকে দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম পর্বে ১২ কার্যদিবসে মোট ১ হাজার ৭২১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর ১২ কার্যদিবসে দ্বিতীয় পর্বের উচ্ছেদ অভিযান হাতে নেয় সংস্থাটি। অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শেষে পুনরায় ১২ কার্যদিবসে চলবে তৃতীয় পর্বের অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্থার করে ১০ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীতে ড্রেজিং করা হবে। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ

১৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ