মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে যে বন্দুকবাজেরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে সাধারণ মানুষদের, তাদের মধ্যে এক জন ২৮ বছরের অস্ট্রেলীয় নাগরিক। বন্দুক নিয়ে হামলা চালানোর কিছু ক্ষণ আগে ইন্টারনেটে সে একটি ৭৩ পাতার ইস্তাহারও প্রকাশ করে। সেই ইস্তাহারের লাইনে লাইনে ছিল মুসলিম বিদ্বেষ ঘৃণা আর শেতাঙ্গ আধিপত্যের চরম মতাদর্শের কথা।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, যে বন্দুকবাজ হামলার লাইভ ভিডিয়ো সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করছিল, তার নাম ব্রেন্টন টারান্ট। এই নামে টুইটারেও একটি অ্যাকাউন্ট আছে তার। ফেসবুকেও সে নিজেই ১৭ মিনিট ধরে এই হামলা চালানোর ভিডিয়ো দেখিয়েছে। যদিও হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও। এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই সে প্রকাশ করেছিল তার ৭৩ পাতার ইস্তাহার। এই ব্রেন্টন টারান্ট যে অস্ট্রেলীয় নাগরিক, তা জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও। ঘটনার কড়া নিন্দা করে এই বন্দুকবাজকে তিনি বলেছেন, ‘চরমপন্থী, দক্ষিণপন্থী, খুনি এবং এক জন হিংস্র জঙ্গি।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বন্দুকবাজ যে মতাদর্শ প্রকাশ করেছে, তাতে রয়েছে প্রায় ১৬,৫০০ শব্দ। এই ইস্তাহারটিকে সে প্রকাশ করেছে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নাম দিয়ে। সেখানে এই মতাদর্শের মাধ্যমে ‘নতুন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে পদক্ষেপ’ করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদেরকেই পৃথিবী জুড়ে সমস্ত সঙ্কটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউরোপের মাটি থেকে বিদেশিদের তাড়াতে এবং ইউরোপের লক্ষ লক্ষ শ্বেতাঙ্গ মানুষকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে এই ইস্তাহারে। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য নিয়ে একটি স্লোগানও দেওয়া হয়েছে এই ইস্তাহারে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক বেশ কিছু দিন ধরেই ঘাঁটি গেড়েছিল নিউজিল্যান্ডে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড পুলিশের সন্দেহভাজনদের তালিকায় তিনি ছিলেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু দিন ধরে চরমপন্থী মতাদর্শের কথা প্রচার করলেও তাকে কেন নজরদারির তালিকায় রাখা হয়নি, তা নিয়ে সরব হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
এই ভয়াবহ নাশকতার আগের মুহূর্তেও সে ছিল অস্বাভাবিক রকমের শান্ত। মসজিদের সামনে গাড়ি পার্ক করে ভিতরে ঢোকার আগে সে শুরু করে লাইভ ভিডিয়ো। আর শুরুতেই সে বলে, ‘তা হলে শুরু হয়ে যাক আজকের পার্টি।’ এর পরই সে বন্দুক হাতে নিয়ে ঢুকে যায় মসজিদের ভিতরে।
সেই লাইভ ভিডিয়ো থেকে দেখা যায়, তার বন্দুকে লেখা আছে আলেসান্দ্রে বিসনেত্তা এবং লুকা ত্রাইনির নাম। ২০১৭ সালে কানাডাতে একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ছয় নিরপরাধকে হত্যা করেছিল আলেসান্দ্রে বিসনেত্তা। ২০১৮ সালে ইতালিতে আসা শরণার্থী আফ্রিকানদের উপর গুলি চালিয়েছিল লুকা ত্রাইনি। এর থেকেই স্পষ্ট, কৃষ্ণাঙ্গ এবং মুসলিম বিদ্বেষই ছিল এই শ্বেতাঙ্গ বন্দুকবাজের মতাদর্শের মূল কথা।
কৃষ্ণাঙ্গ এবং মুসলিম বিরোধী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হলেও কোনও দলের সঙ্গে সে যুক্ত নয়, এমনটাই জানানো হয়েছে তার ইস্তাহারে। এমনকি নিজের কাজের জন্য তার কোনও অনুশোচনা থাকবে না বলেও জানিয়েছে এই বন্দুকবাজ। সূত্র: আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।