পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহম্মেদ বলেছেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুসলিম বিদ্বেষী। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কাছে শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। দেশে আজ শুধু মুসলমান নয়, সব ধর্মের লোক নির্যাতিত। জনসমর্থন হারিয়ে সরকার এখন ডা-া আর বন্দুকের জোরেই ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির বিগত আন্দোলনগুলোতে গুম-খুন ও নিগ্রহের শিকার পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অনুষ্ঠানে বিএনপির বিগত আন্দোলনে গুম হওয়া লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নাসির হোসেন, ফেনীর যুবদল নেতা মাহাবুর রহমান রিপন, বিমানবন্দর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মুন্না এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বুকে ‘গণতন্ত্র মুক্তি চাই’ লিখে রাজপথে থাকা দেলোয়ারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এর আগে আরো ২২টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এই সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সম্ভব নয়। কোড ভেঙে ডিকোডিং করে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে টাকাটা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারের ওপর মহলের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া এটি কখনোই সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে অভিযোগ যে সত্য নয়, তা প্রমাণ করুন। তা না করে আপনি হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। দেশের আরেকজন রাজনীতিবিদকে (খালেদা জিয়া) তুই-তাকারি করছেন। আপনি করছেন, আপনার ছেলেও করছে। এতে কি আপনাদের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে? জনগণ কি আপনাদের ভালোভাবে মেনে নিচ্ছে?
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) হাতে ক্ষমতা, ডা-া আর বন্দুক আছে। জনগণ ও বিরোধী দলের ওপর এর অপব্যবহার করছেন। জনগণের প্রতি আপনার কোনো ধরনের শুভেচ্ছা নেই, নেই আপনার জনসমর্থনও। সেজন্য ডা-া আর বন্দুকের জোরেই ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। অনির্বাচিত হওয়ায় দেশবাসীর কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের দিনযাপন করতে হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, একদিকে ঘাতক, অন্যদিকে রক্তপাত- এর মধ্যে যে সংকীর্ণ রাস্তা সেই রাস্তা দিয়ে আমাদের হাঁটতে হয়। দিন-রাত আতঙ্ক আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। ডানে-পেছনে সব সময় মনে হয়, অশরীরী কোনো আত্মা আমাদের তাড়া করছে। ভয়ঙ্কর অমানিশার মধ্যে আজকে বাংলাদেশ। এর জন্য দায়ী ভোটারবিহীন সরকার ও সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুসলিমবিদ্বেষী। আপনি মুসলিম হয়েও মুসলিমবিদ্বেষী। আপনি মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কাছে শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। এই ঘটনা আড়াল করতেই আপনি ইসরাইল, মোসাদ, আসলাম চৌধুরী কল্পকাহিনী সাজিয়েছেন। আজকে আপনি আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে ইসরাইলের মোসাদ মোসাদ বলছেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে আপনি সেক্যুলার ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাব দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এখানে (দেশে) শুধু মুসলিম ধর্ম নয়, সকল ধর্মের মানুষ আজ নির্যাতিত। বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হলেও আপনি হেফাজতের লোকদের মেরেছেন। যারা কোরআন তেলাওয়াত করে তাদের বিরুদ্ধে আপনি কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ করেছেন। সেদিন কত মানুষ মেরেছেন তার পরিসংখ্যানও দেন নাই। এই কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এবং পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলো থেকে আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অনেক দেশ আজ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয় না।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বিষাক্ত আর এই বিষাক্ত রাজনীতির কারণেই জনসাধারণ আজ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রের কর্মচারী কিন্তু জনগণ থেকে তাদের অবস্থান আজকে অনেক দূরে। সাদা পোশাকে কাউকে ধরে নেয়ার আইন এ দেশে নেই। জনগণের সেবার জন্য তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের ধরার জন্য নয়।
তিনি বলেন, আমাদের এমন একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে যেখানে সবাই আইনের শাসনের মধ্যে থাকবে। কারো ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা নূরুল আলম নুরুর সভাপতিত্ব করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।