মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোনো দেশ থেকেই মুসলিমরা আমেরিকায় আসতে পারবেন না এটা তিনি বলতে চাননি : হোপ হিক্স
ইনকিলাব ডেস্ক : রাজনীতির মারপ্যাঁচে এবার মুসলিম প্রশ্নে সুর নরম করে ফেললেন মার্কিন নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অরল্যান্ডোর ঘটনার পর মুসলিমদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে যে খুব একটা বিচক্ষণতার পরিচয় দেননি সম্ভবত তা এখন বুঝতে শুরু করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। গত শনিবার তাই ট্রাম্পের আগের ভুল শুধরে দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থীর মুখপাত্র হোপ হিক্স জানিয়েছেন, কোনো দেশ থেকেই মুসলিমরা আমেরিকায় আসতে পারবেন না এটা বস (ট্রাম্প) বলতে চাননি। উনি চান, যে দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ সীমা ছাড়িয়েছে সেই দেশগুলো থেকে মুসলিমদের আমেরিকায় আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। হিক্স ই-মেলে ট্রাম্পের এই বক্তব্য পাঠিয়ে দিয়েছেন সবকটি সংবাদমাধ্যমের কাছে।
গত ডিসেম্বর থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে লাগাতার কামান দেগে চলছিলেন ট্রাম্প। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিলেন, এটাই হয়তো এ বার নির্বাচনে ট্রাম্প-কার্ড! ঘটনাচক্রে, অরল্যান্ডোর ঘটনার আততায়ী এক জন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তার বহু পরিচিত মুসলিম-বিদ্বেষের ড্রাম আরও জোরে বাজাতে শুরু করেন রিপাবলিকান প্রার্থী। ওই সময় ট্রাম্প সরাসরি বলেছিলেন, যেকোনো দেশ থেকে মুসলিমদের আমেরিকায় আসার ব্যাপারে পাকাপাকি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। পরে তার একের পর এক টুইটে মুসলিমদেরবিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তা নিয়ে আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যায় নিন্দা, সমালোচনা। আমেরিকার মতো একটি দেশের প্রেসিডেন্ট পদ-প্রার্থীর এহেন জাতিবিদ্বেষী আচরণ, মন্তব্যের বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর সরব হতে শুরু করে বিশ্ব জনমত। আমেরিকার প্রাইমারিগুলোতে যারা কিছু দিন আগেও ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে, তারাও ট্রাম্পের অসংযত জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যে যারপরনাই বিরক্তি প্রকাশ করেন। আলোড়ন শুরু হয়ে যায় রিপাবলিকান পার্টিতেও। গত শনিবার গল্ফ খেলতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প স্কটল্যান্ডে। সেখানে তার একটা গল্ফ কোর্স রয়েছে। সঙ্গে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। সেখানেই এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, স্কটল্যান্ড থেকে কোনো মুসলিম আমেরিকায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে কি ট্রাম্প তাকে আমাকে বিরক্ত করবেন না বলে খেদিয়ে দেবেন? পাশেই ছিলেন ট্রাম্পের মুখপাত্র হিক্স। এর পর আর সাংবাদিকদের ই-মেল পাঠাতে দেরি করেননি ট্রাম্পের মুখপাত্র! তা হলে কি ভোট বড় বালাই বলে ট্রাম্প তার কার্ডটা বদলে ফেললেন? বিবিসি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।