নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। নিউজিল্যান্ড সফরেও তাই। ওয়েলিংটন টেস্টে দারুণ বল করে এক পর্যায়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। এমনিতেই স্যুয়িং করাতে পারঙ্গম এই পেসার নিউজিল্যান্ডের মাঠে গিয়ে পান বাড়তি সুবিধাও। এবার জানালেন, নতুন অস্ত্র যোগ করতে যাচ্ছেন তিনি। ‘বাবল বল’ নামের নতুন এই ডেলিভারি নাকি তাকে শিখিয়েছেন টিম সাউদি।
ওয়েংলিটনে একমাত্র ইনিংসে ৯৪ রানে ৩ উইকেট নেন জায়েদ। যেমন বল করেছেন উইকেট পেতে পারতেন আরও বেশি। তার বলে একই ওভারে দুবার পড়েছেন রস টেইলরের ক্যাচ। ২০ রানে দুবার জীবন পেয়ে সেই টেইলর থেমেছেন ২০০ রান করে।
অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও মুস্তাফিজুর রহমানের চেয়েও বেশি কার্যকর ছিল জায়েদের বোলিং। ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্টেও বাংলাদেশের পেস আক্রমণে প্রধান ভরসা জায়েদ। জানালেন ওই টেস্ট শেষে দেশে ফেরার আগে ‘বাবল বল’ নিয়ে সাউদির তালিম নিতে চান তিনি, ‘বাবল বল যেটা সাউদি মারে প্রায়ই, এটা নিয়েও কাজ করছি। এটা অনেকটা ক্রস সিমের মতো, আউট স্যুইংয়ের মতো গ্রিপ থাকে। বলটা পড়ে ইনস্যুইং করে। এটা শেখার চেষ্টা করছি। ম্যাচ শেষে সাউদির সঙ্গে বসব।’
নিউজিল্যান্ডে দেশের চেয়ে অনেক বেশি স্যুয়িং পাচ্ছেন বটে। তবে সবাই ভালো করতে না পারায় দলের অবস্থা বেহাল। নিজের বোলিং তুষ্টি দিলেও তকে পোড়াচ্ছে দলের হাল, ‘এখানে আমাদের কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে এখানে বেশি স্যুইং পাচ্ছি। নিজের পারফরম্যান্সের চেয়ে ফলটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিম যদি ফল পেত, তাহলে বেশি ভালো লাগত।’
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে যে কজন পেসার নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। এবার তাদের কেউই নেই। এবার যারা আছেন পরের কোন কঠিন সফরে তারা থাকবেন কিনা সে নিশ্চয়তা নেই। বারবার অদল বদলে পেসারদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে না পোক্ত। জায়েদের তাই আকুতি আরও বেশি টেস্ট খেলা, আরও ধারাবাহিক সুযোগ, ‘আমরা যে কজন পেসার খেলছি, তাদের মধ্যে মোস্তাফিজ শুধু ১১ (আসলে ১৩ টেস্ট) ম্যাচ খেলছে। তাই আমার কাছে মনে হয়, আরও টেস্ট খেলা উচিত। আরও খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যান্য দেশের বোলারদের দেখেন অনেক টেস্ট খেলছে। টেস্ট হলো অভিজ্ঞতার ক্রিকেট। যত বেশি টেস্ট খেলবেন, তত অভিজ্ঞ হবেন এবং বুঝতে পারবেন টেস্ট ক্রিকেট কেমন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।