দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
পূর্ব প্রকাশিতের পর
শাইখের স্থলাভিষিক্ত: হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রহঃ) পিতা ও শাইখ হতে তরীকতের খেলাফত লাভ করলেও শাইখ কর্তৃক স্থলাভিষিক্ত নির্ধারিত হননি। সৈয়ধ মুহাম্মদ ইসহাক (রহঃ) অন্য কাউকেও স্থলাভিষিক্ত করে যাননি বরং তিনি এ জন্য তার খলীফাদের মধ্য থেকে ১২ জনকে নিয়ে একটি শূরা কমিটি গঠন করেন এবং এ কমিটিকে অসিয়ত করেন যে, তাঁর ইন্তিকালের পর শূরা কমিটি তাঁর খোলাফাদের মধ্য থেকে যাঁকে অধিক মুত্তাক্বী, আমলদার ও যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করবে তাঁকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত নির্বাচন করবে। মাওলানা সৈয়দ ইসহাক (রহঃ) এর ইন্তিকালের পর ১৯৭৩ ইং সালে শূরা কমিটি অসিয়ত অনুযায়ী তাঁর দ্বিতীয় সাহেবজাদা ও খলীফা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রহঃ) কে তাক্বওয়া, আমল ও যোগ্যতার দিক দিয়ে অগ্রগামী সাব্যস্ত করে তাঁকে শাইখের স্থলাভিষিক্ত নির্বাচিত করেন।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি গঠন: হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম রহ. এর আব্বাজান হাদীয়ে যমান হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক (পীর সাহেব চরমোনাই) রহ. তরীকার খিদমত সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়ার জন্য “বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি” গঠন করেন। যেহেতু তাঁর তরীকতের দীক্ষায় অনুসারী ও মুরীদদের আত্মশুদ্ধির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, সে মতে তাদেরকে সর্বদা নফসের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত থাকতে উৎসাহিত করেন। এজন্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক (রহঃ) তাঁর মুরীদদের নাম রাখেন মুজাহিদ। এ নামকরণের আরো একটি কারণ হল, তার মুরীদগণ নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করে যেমন নফসকে পরিশুদ্ধ ও নির্মল করবে, তেমনি তারা সমাজ ও দেশ থেকেও অন্যায় ও বাতিলকে উৎখাত করে সেখানে ইসলামী হুকুমাত কায়েম করা তথা সমাজকে নির্মল ও পরিশুদ্ধ করতেও মুজাহিদের ভূমিকা পালন করবে। মুজাহিদ কমিটির যিনি নেতৃত্ব দিবেন তিনি হবেন আমীরুল মুজাহিদীন। পরবর্তিতে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম রহ. এর নেতৃত্বে এ কমিটি বাংলাদেশের সর্বত্র এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ইসলামের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি পৌঁছে দিচ্ছেন। বিশেষ করে এই মুজাহিদরা তাদের আত্মশুদ্ধির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
শাহসূফী আলামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) রহ. এ ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ২০০৬ সাল ২৫ নভেম্বর মোতাবেক ১১ অগ্রহায়ন রোজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিলাহি ...আলাহ তায়ালা তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন এবং তার রেখে যাওয়া পরিবার-পরিজন ও কোটি কোটি মুরিদ ভক্তদের কবুল করুন। আমিন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।