Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানসিক স্বাস্থ্য

| প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম


নিভৃতে চিন্তা করা ঃ হার্বাড বিজনেস স্কুলের বিজনেস অ্যাডসিনিস্ট্রেশনের প্রফেসর গ্যারিপি পিসানো পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন কিছু শিখার পেছনে চিন্তাশীলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মার্কিন দার্শনিক মনোবিজ্ঞানী জন ডেওয়ের মতে, ‘আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিখি না। আমরা শিখি অভিজ্ঞতা রোমস্থন করার মাধ্যমে।’ ম্যানেজমেন্ট প্রাকটিস অ্যান্ড হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রফেসর বিল জর্জের পরামর্শ, প্রতিদিন কোন এক সময় কমপক্ষে ২০ মিনিট বিভিন্ন বিষয়ে তিন্তা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে মূল্যায়ন করা, জীবনের কোন বিশেষ ঘটনা এবং মানুষের দ্বারা কীভাবে প্রভাবিত হয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে চিন্তা করা। এতে নিজের সম্পর্কে বুঝতে পারবেন নিজে আসলে কেমন। এর ফলে মন ও ব্রেনের মধ্যে এক ধরনের সমন্বয় ঘটে, যা মানুষের রাগ ও উত্তেজনা কমিয়ে মানসিক প্রশান্তি দেয়। এ জন্য কিছু কাজ করতে পারেন-যেমন-
* কোনও ডায়েরিতে চিন্তাগুলো লিখে রাখা। * হাঁটাহাঁটি করা বা হাল্কা জগিং করা
* মেডিটেশন করা * সৎ থাকা। তবে নিজের প্রতি কঠোর না হওয়া।
শুভাকাক্সক্ষী ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় কাটান ঃ গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তেজনা এবং হতাশা সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে অনেকটা কেটে যায়। শারীরিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। দুশ্চিন্তা উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট রেটের ওপর প্রভাব ফেলে। বিশ্বস্থ কোন বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটালে মন প্রফুল্ল থাকে। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে এটি একটি কার্যকরী উপায়। এমন কোনও ঘনিষ্টজনের সঙ্গে সময় কাটান, যিনি আপনার প্রতি আগ্রহী। এতে নিজে যা বলছেন এবং যেটা গোপন রাখছেন, দুটোই বুঝতে পারেন। শুভাকাক্সক্ষীরা সব সময় মানুষের কথা পুরোপুরি শুনেন কোনও রকম সমালোচনা এবং পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই।
করণীয় ঃ নিজেকে অন্যের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখবেন না। বন্ধুদের সংঙ্গে মন খুলে মিশুন।
ভাল কোনও পার্টিতে সবসময় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিশ্বস্ত বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।। তাদের পরামর্শ নিবেন। নিজের সমস্যাগুলো অনুধাবনের চেষ্টা করুন। বন্ধুদের পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে শোনার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট অনুসরণ করা ঃ শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন স্বাস্থ্যকর ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ, তেমনিই মানসিক সাস্থ্যের উন্নতিতেও এটি প্রয়োজনীয়। কিছু খাদ্য রয়েছে, যেগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারীতা ঠিক রাখে।
করণীয় ঃ মিষ্টি জাতীয় প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন। প্রতিদিন সবজি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ। শরীর সবসময় হাইড্রেটেড রাখবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা ঃ ব্যায়াম করলে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়। নিয়মিত ব্যায়ামে মানসিক চাপ কমে এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়।
করণীয় ঃ সপ্তাহে অন্তত তিনবার পছন্দ অনুযায়ী কোনও শারীরিক কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত থাকুন। হার্ট সুস্থ থাকবে এমন ব্যায়াম করুন প্রতিদিন ১৫ মিনিট। ব্যায়ামের সময় হাইড্রেটেড থাকুন।
বই পড়–ন ঃ একটি ভাল মানের বই মন ভাল রাখার জন্য শক্তিশালী উপাদান। বই পড়ার অভ্যাস মনকে প্রফুল্ল রাখে। এতে নেতিবাচক, দুশ্চিন্তা মনে আসতে বাধা দেয়। নিজের পছন্দের ভাল কোনও বই পড়–ন। এমন একটি যায়গা বেছে নিন, যেখানে নিজের পড়ার ব্যাঘাত ঘটবে না। পড়ার মাঝে বিরতি নিন। পড়ার সময় মনে এমন কোনও তাৎপর্যপূর্ণ চিন্তা আসলে সেটা নোট করে রাখুন।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম ঃ দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রতিদিন রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ফেসবুকিং, টিভি দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। রুম সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ঘুমানোর আগে মন প্রফুল্ল রাখে, এমন বই পড়তে পারেন। কখনও পেট খালি রেখে ঘুমুতে যাওয়া ঠিক নয়।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক কলামিষ্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানসিক

৩ ডিসেম্বর, ২০২১
২২ আগস্ট, ২০২১
বিয়ের পর থেকেই দেখে আসছি আমার স্বামী তার পরিবারের কথায় আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়, অযথা সন্দেহ করে, আজ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং বেড়েছে। সে নিজে নামাজ পড়ে না কিন্তু আমার নামাজ নিয়ে খোটা দেয়। গালমন্দ করে, বাচ্চাদের নামাজ, আরবি শিখাতে গেলেও টিটকারি করে। আমাকে বাবার বাড়ি যেতে দেয় না, কিন্তু সে নিজে যায়। আজেবাজে বন্ধুদের সাথে বেশি মিশে কিন্তু আমাকে কোনো আত্মীয় বা বান্ধবীর বাসায় যেতে দেয় না। সংসারে কোনো উন্নতি নেই, কিন্তু এগুলা নিয়ে কিছু বলতে গেলে বাপ মা তুলে গালি দেয়। লোভী বলে, ভাতের খোটা দেয়। আমার নামাজ হয় না বলে তিরস্কার করে, চরিত্র তুলে কথা বলে। প্রতি ঈদ বা দাওয়াত এর আগে হটাৎ ছোটো খাটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া শুরু করে এবং পরবর্তী তিন চার মাস পর্যন্ত মুখ কালো করে থাকে ও আলাদা ঘরে ঘুমায়। সে একদিন রাগ করে কুরআন পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেছে। আমি একজন শিক্ষিত মেয়ে কিন্তু চাকরিও করতে দেয় না। এই মানসিক অত্যাচার এর মধ্যে থাকতে থাকতে আমি বাচ্চাদের নিয়ে অতিষ্ট হয়ে গেছি। কিন্তু সে সংসার ভাঙতে চায় না। এমতাবস্থায় আমি তাকে ডিভোর্স দিতে চাই, নিজে বাঁচার জন্য, গুনাহ হবে কি?

আরও
আরও পড়ুন