পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রভাবশালীদের নানা বাধা বিপত্তি সত্তে¡ও আবারও বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সংস্থাটির নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। তবে গতকাল দিনব্যাপী অভিযান চললেও পশ্চিম হাজারীবাগের হাইক্কার খালের কাছের আলোচিত সেই ১০ তলা ভবনটি ভাঙা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগে বলেন, ওই ভবনটির পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। ক্ষমতাশালীদের সংশ্লিষ্টতা ও প্রভাব থাকায় বিআইডব্লিউটিএ গতকালও ভবনটি ভাঙার সাহস করেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে।
এদিকে, গতকাল সকাল থেকে বছিলা ও কেরানীগঞ্জের মধ্যরচর এলাকায় শুরু হওয়া অভিযানে পাকা, আধাপাকা ও বাউন্ডারি ওয়ালসহ বিভিন্ন ধরণের ১১৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র বলেন, অভিযানে তিন তলা ভবন ৫টি, দোতলা ৪টি, এক তলা ১৯টি, পাঁকা ২৮টি, আধা পাঁকা ২২টি, টং ঘর ৭টি ও ৩১টি বাউন্ডারি ওয়াল উচ্ছেদ করা করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে দখল হওয়া নদী তীরবর্তী ১০.৫ শতাংশ জায়গা উদ্ধার করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান ১২ কার্যদিবস পর্যন্ত চলবে। অভিযানের দ্বিতীয় পর্বে বসিলার নিকটবর্তী বুড়িগঙ্গা তীরে হাইক্কার খাল ও তুরাগ তীরে চন্দ্রিমা উদ্যোন এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হবে। ২৮ মার্চ পর্যন্ত চারটি পর্যায়ে এ অভিযান চলবে। প্রয়োজনবোধে এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে। এর আগে, ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা অভিযানে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীর থেকে ১ হাজার ৭২১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার দুই তীরে যেসব অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে ভাঙা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত নদীর তীরের সব ধরণের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে, ততদিন এ অভিযান চলবে। নদী দখলকারীরা যেই হোক, তাকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। উচ্ছেদের পর সীমানা চিহ্নিত করে নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ভেতরে গাছ লাগানো হবে, যেন কেউ পুনরায় দখল করতে না পারে।
জানা গেছে, পশ্চিম হাজারীবাগে হাইক্কার খালের কাছে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের সংযোগস্থলে বছিলা এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত আলোচিত ১০তলা ভবনটি এবারের অভিযানের উচ্ছেদ তালিকার শীর্ষে থাকলেও গতকাল তা উচ্ছেদ করা হয়নি। স্থানীয়রা বলছে, এই ভবন না ভাঙ্গার পেছনে শক্তিশালী কারো হাত রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজউকের সাড়া না মেলায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আগামিকাল (আজ) বুধবার ১০তলা ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হতে পারে।
গতকাল উচ্ছেদ অভিযান এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে নৌ-সচিব আব্দুস সামাদ বলেন, অবৈধ দখলদারিত্বের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার ভয়-ভীতির উর্ধ্বে থেকে সমন্বিতভাবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরে অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদে অভিযান জোরদার করতে বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশ দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ। ঢাকা নদী বন্দর টার্মিনাল সদরঘাট থেকে মোহাম্মদপুর বসিলা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের উচ্ছেদকৃত এলাকা পরিদর্শনকালে এ নির্দেশ দেন তিনি। পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন সচিব বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকের নদীগুলোসহ দেশের সকল নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নদীসমূহের তীরভূমিসহ নদীগর্ভ হতে অবৈধ স্থাপনা ভরাট উচ্ছেদ অপসারণের লক্ষ্যে অভিযান জোরদার করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার পর্যায়ে মোট ১২ দিন বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলে। সে সময় বছিলা এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ‘আমিন-মোমিন হাউজিং লিমিটেড’ নামে হাউজিং প্রকল্প সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও ১ হাজার ৭৪১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ২৪ একর তীরভূমি। এই সময়কালে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের দায়ে বিআইডব্লিউটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনের তিন মাসের কারাদন্ডসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।