নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের চুড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ কিশোরী দল। শুক্রবার মিয়ানমারের মানদালা থিরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারায় স্বাগতিক দলকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিলিপাইনকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেয়ার কারণে চুড়ান্ত পর্বে যেতে দ্বিতীয় ম্যাচে নূন্যতম গোলের জয় প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। যেটা তারা করে দেখিয়েছে। এদিন ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিট বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল ম্যাচ। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেন মারিয়ারা। দু’তিনটি গোলের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছিল। ১৪ মিনিটে ডিফেন্ডার আখির বাড়ানো বল মনিকার পা ঘুরে আসে তহুরার কাছে। আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিককন্যা তহুরা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে সঙ্গে নিয়েই বক্সে প্রবেশ করলেও আগুয়ান গোলরক্ষক কিন মিয়াতেকে ফাকি দিতে পারেননি। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের পাঁচটি আক্রমণ অফ-সাইডে নষ্ট হয়। অধিকাংশ সময় অফ-সাইড ফাঁদে পড়েন তহুরা। ২৫ মিনিটের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা। প্লেসিং ফুটবল খেলে মিডফিল্ডে সুন্দরভাবে বল আদান প্রদান করে তারা। তবে সংঘবদ্ধ আক্রমণ সেভাবে করতে পারেনি। দুরপাল্লার শট করে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে মাঝে মধ্যে পরীক্ষায় ফেলার চেষ্টা করেন মিয়ানমারের ফরোয়ার্ডরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’দল বল দখলের চেষ্টায় সমান তালেই লড়ে। তুলনামূলক বাংলাদেশের মেয়েদের আক্রমণের ধার ছিল বেশী। ফলে তারা সফলও হয়। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে মিয়ানমারের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের ভুল বোঝাবুঝি হলে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা বল ধরতে পারেননি। ফলে কর্নার হয়। এই কর্নার থেকেই গোল পায় লাল-সবুজরা। ডানপ্রান্ত দিয়ে মনিকা চাকমার নেয়া বাকানো কর্নার শটের বল মিয়ানমারের গোলরক্ষক কিন মিয়াতের হাতে লেগে জালে প্রবেশ করে (১-০)। গোল হজমের পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়েই আক্রমণ চালায় মিয়ানমার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা সফল হয়নি। ফলে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল দু’ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা। সেটা করেছে মেয়েরা। এখন চীনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিততে চাই।’ সেটা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে ছোটন বলেন, ‘আমরা ফিলিপাইনকে ১০ গোল দিয়েছি। ওরা দিয়েছে ৭ গোল। আমার বিশ্বাস মেয়েরা তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে চীনকেও হারাবো আমরা।’
একই ভেন্যুতে দিনের প্রথম ম্যাচে চীন ৭-০ গোলে হারায় ফিলিপাইনকে। বাংলাদেশের জয়ে চীনেরও চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হলো। চীন প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারকে হারিয়েছিল ৫-০ গোলে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে রোববার চীনের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজরা।
এশিয়ার সেরা আটটি দেশকে নিয়ে সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে হবে টুর্নামেন্টের চুড়ান্ত পর্ব। যেখানে সরাসরি খেলবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, তৃতীয় জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড। এদের সঙ্গে যোগ হবে দ্বিতীয় পর্বের সেরা চার দল। চূড়ান্ত পর্বের সেরা তিন দল খেলার সুযোগ পায় ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।