নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সব কিছু ঠিক থাকলে তার এখন থাকার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডে। বিপিএলের পারফরম্যান্স নিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ও টেস্ট দুই ফরম্যাটেই। কিন্তু বিপিএলের শেষ ম্যাচে চোটে পড়ে তাসকিন আহমেদ গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। গোড়ালির চোট কাটিয়ে এই পেসারের প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ পর্ব দিয়েই ফিরতে চান মাঠে। সেখানে নৈপুণ্য দেখিয়ে তার লক্ষ্য বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়া।
চোটে পড়ার তিন সপ্তাহ পার হওয়ার পর রোববার বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরীর পরামর্শ নিতে এসেছিলেন মিরপুরে। এই কদিন ক্র্যাচে ভর করে বাসায় বিশ্রাম নেওয়া তাসকিন সোমবার থেকে ক্রাচ ছাড়াই হাঁটা শুরু করবেন। উন্নতি প্রত্যাশামত হওয়ায় পুনর্বাসনের পরের ধাপের পরামর্শ নিয়েছেন চিকিৎসকের কাছ থেকে। জানালেন, আগের চেয়ে উন্নত হচ্ছে গোড়ালির অবস্থা, ‘আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটা ভালো। তিন সপ্তাহ শেষ হলো। আমি এত দিন ক্র্যাচে করে হেঁটেছি। কাল (আজ) থেকে ক্র্যাচ ছাড়া হাঁটব। আর রিহ্যাব প্রোগ্রামের একটু আপগ্রেড করার শিডিউল দিয়েছে। এক্সারাসাইজ আরও বাড়াবো।’
৮ মার্চ থেকে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। প্রাথমিক পর্বে তাসকিনের নামার সম্ভাবনা নেই। তার দল সুপার লিগে উঠলে নামতে চান সেখানে, ‘কোনো সমস্যা না হলে সব কিছু এভাবে স্মুথলি চলতে থাকলে অবশ্যই সুপার লীগ থেকে খেলতে পারব।’
নিউজিল্যান্ডে যেতে পারলে নিজেকে বিশ্বকাপের জন্য প্রমাণ করতে পারতেন। সেই করতে না পারায় আক্ষেপ ঘুচাতে চান সুপার লিগে। লক্ষ্য একটাই নিজেকে আলোয় নিয়ে এসে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়া, ‘আসলে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলে আমি আমার সেরাটা দিতে চেষ্টা করব। আমার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যেন সুযোগ হয়। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়াও তো সহজ কিছু না। এটা কঠিন। হয়তো বিপিএলে ভালো খেলার কারণে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল কিন্তু এখনো চ্যালেঞ্জ আছে, সুস্থ থাকা, লিগে সুযোগ হলে ভালো খেলা।’
এবার বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে গোড়ালিতে আঘাত পান তাসকিন। সেই চোট তাকে ছিটকে দেয় নিউজিল্যান্ড সফর থেকে। আক্ষেপ থাকলেও আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তরুন এই পেসারের মুখে, ‘আসলে ছন্দে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেইন জিনিসটা হলো ভালো খেলার পেছনে মানুষের আত্মবিশ্বাস। ওইটা ঠিক আছে। একটু মন খারাপ হলে যখন মনে হয় যে খেলতে পারছি না, যখন মনে হয় যে নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলতে পারলাম না, তখন আমি বিপিএলের বোলিং ভিডিও গুলো দেখি। তবে সব ঠিক আছে, এটা পার্ট অব লাইফ। সামনে যেহেতু আমার স্বপ্ন আসছে। সেটার জন্য যা যা করনীয় সেটাই করার চেষ্টা করব।’
পেসারদের ইনজুরি অনুমিতই। তবে যে দলে মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো লড়িয়ে বোলার আছে সেখানে প্রেরণা খুঁজে নিতে সমস্যা হবার কথা নয় তাসকিনের, ‘হ্যাঁ, এটা তো অবশ্যই ফাস্ট বোলারের জন্য কমন। তবে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। আমার যেই রোল মডেল, মাশরাফি ভাই, তিনি অনেক স্ট্রাগল করে লিজেন্ড হয়েছেন। তো এটা মানতে হবে, ফাস্ট বোলার হিসেবে ইনজুরি আসবে। যত দ্রæত কামব্যাক করা যায় ততই ভালো। এই যে বললেন, সময়ের কথা। কিন্তু মানসিকভাবে শক্ত থাকলে কম সময়েও কামব্যাক করা যায়। ইনশা আল্লাহ আমি পারব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।