নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ¯øগ ওভারে তার দিকে তাকিয়ে থাকে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নিজের বোলিং মুন্সিয়ানায় আটকে রাখবেন, দলের প্রত্যাশা থাকে এমন। প্রায়ই মেটানও প্রত্যাশা। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবার দেখা মিলল ভিন্ন এক মুস্তাফিজুর রহমানের। একটির পর একটি ফুল টস, হাফ ভলিও বেশ কিছু। এলোমেলো লাইন-লেংথ, ওয়াইড-নো বলও হলো। দলের বড় ভরসার বোলার মুস্তাফিজুর রহমান যেন পুরো অচেনা রূপে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে দেদার রান বিলিয়ে বাঁহাতি পেসার জায়গা করে নিলেন অনাকাক্সিক্ষত এক রেকর্ডের তালিকায়। যেখানে তার চেয়ে ‘এগিয়ে’ কেবল শফিউল ইসলাম।
গতকাল ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে এদিন দুটি উইকেট নিলেও ১০ ওভারে ৯৩ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে এক ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান দেওয়ার নজির আছে দুটি। দুবারই বোলার ছিলেন শফিউল। ২০১০ সালের জুলাইয়ে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৭ রান দিয়েছিলেন শফিউল ৯ ওভার বোলিং করে। ইংল্যান্ড করেছিল ৩৪৭ রান। ওই ম্যাচের তিন সপ্তাহ আগেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিলেও শফিউল ১০ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৯৫। পাকিস্তান করেছিল ৩৮৫।
এই যুগে বোলারদের প্রচুর রান দেওয়া অপ্রত্যাশিত নয়, তবে মুস্তাফিজ বলেই এমন পারফরম্যান্স বিস্ময়কর। কখনও দু-এক স্পেল খারাপ হলেও এই বাঁহাতি পেসার পুষিয়ে দেন অন্য কোনো স্পেলে। কিন্তু এই ম্যাচে শুরু থেকেই রান বিলিয়ে গেছেন, একটুর জন্যও পাননি ছন্দ। ডানেডিনের বাউন্ডারি ছোট, উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। তবু মুস্তাফিজের মানের বোলারের এত রান দেওয়া নিশ্চিতভাবেই চোখ কপালে তোলার মতই ব্যাপার।
খরুচে বোলিংয়ে মুস্তাফিজের পরে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেনোনিতে এই বাঁহাতি স্পিনারের ৯ ওভারে রান এসেছিল ৮৮। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে ৭ ওভারেই ৮৭ রান দিয়েছিলেন পেসার তাপস বৈশ্য।
খরুচে বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ডে অবশ্য এখনও খানিকটা পেছেন থাকার স্বস্তি আছে বাংলাদেশের। ইনিংসে একশ বা তার বেশি রান দেওয়ার ঘটনাই আছে এক ডজন। বাংলাদেশের এই ম্যাচের সেরা বোলার প্রতিপক্ষের টিম সাউদিও আছেন এই তালিকায়। ১০ ওভারে ১১৩ রান দিয়ে বিব্রতকর এই রেকর্ডে সবার ওপরে মিক লুইস। ২০০৬ সালে ৪৩৫ রান তাড়ায় সেই অবিস্মরণীয় জয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারকে তুলোধুনো করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।