নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের মাঝেই জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। তার পর থেকেই ফাঁকা থাকা বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের হটসিটে কে বসছেন এ নিয়ে চলছিল গুঞ্জন। একদিন পরই চট্টগ্রামে দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ওটিস গিবসনকে কোচ করানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের টিম ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তখন শুধুমাত্র ‘একান্ত’ ইচ্ছার কথা জানানোয় নান্নু নিজেও জোর দিয়ে বলতে পারেন নি কিছুই। অবশেষে তার ভিত পাওয়া গেল গিবসনের কথাতেওই। কুমিল্লার প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করা এই ক্রারিবিয়ান নিজেই জানিয়েঝেন, এরমধ্যেই নাকি প্রস্তাব নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা চলছে বিসিবির।
মুস্তাফিজুর রহমানদের কোচিং করাতে আগ্রহী গিবসন নিজেই বিসিবির সঙ্গে তার আলোচনা চলার খবর নিশ্চিত করেছেন। গতকাল কুমিল্লার অনুশীলনের পর গিবসন জানান পেস বোলিং কোচের পদ নিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা চলমান বিসিবির, ‘হ্যাঁ আলোচনা চলছে। আলোচনা চলমান এটা আমি অস্বীকার করব না। এটা আরও লম্বা প্রক্রিয়া আছে, তবে আলোচনা তো চলছেই।’ সুযোগ পেলে কোচ হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতেও মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘অবশ্যই আমি আগ্রহী। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি, বোলিং কোচিং করতে চাই। যদি তরুণ পেসারদের সাহায্য করার সুযোগ পাই, আমি লুফে নেব।’
এবার বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে কোচিং করাতে এসে স্থানীয় পেসারদের সঙ্গে এরমধ্যেই কিছু সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন বলে জানান গিবসন, বাংলাদেশের দায়িত্ব পেতে সব মিলিয়ে ইতিবাচক অবস্থানে তিনি, ‘আমি কিছু খেলোয়াড়কে চিনি এরমধ্যে। আল-আমিন আমাদের দলেই খেলছে, সে জাতীয় দলের পেসার। একধরণের সম্পর্ক এরমধ্যে হয়ে গেছে। আমি তরুণ বোলার এবং অভিজ্ঞদের নিয়েও কাজ করতে চাই। সেরকম সুযোগ হলে অবশ্যই আমি ইতিবাচকভাবে দেখব।’
নব্বুইয়ের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা গিবসন বেশি সফল ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। খেলেছেন ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব গ্ল্যামারগন, লিস্টারশায়ারের মতো দলে। প্রথম শ্রেণীতে সাড়ে ছয়শোর বেশি উইকেটও আছে তার। খেলা ছাড়ার পর কোচিং প্রোফাইলও বেশ ভারি গিবসনের। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ। সবশেষ কাজ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ হিসেবে।
বিশ্বকাপের পর কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে বিসিবি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকান ল্যাঙ্গাভেল্টকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে কোচিং করানোর প্রস্তাব পেয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর তিনিও বিদায় নিলে আবার ফাঁকা হয়ে যায় পেস বোলিং কোচের পদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।