গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজেকর্মে গতি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ করবেন না। কোনো অজুহাতে উন্নয়ন প্রকল্প থমকে থাকবে, গতি স্তিমিত হয়ে যাবে আর চট্টগ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে, অপরাধটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বা তার কাঁধে যাবে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রী বলেন, যে যেখানে আছেন সেখান থেকে আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা কোনো অজুহাত আর শুনতে চাই না। কাজের গতি বাড়াতেই হবে।
বন্দরনগরীতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গতকাল (শনিবার) সিডিএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পূর্তমন্ত্রী উপরোক্ত নির্দেশ দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার। এতে সভাপতিত্ব করেন সিডিএ চেয়ারম্যন আবদুচ ছালাম।
পূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর গতকাল প্রথম চট্টগ্রাম সফরকালে সিডিএ’র বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোডসহ বিভিন্ন প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করেন শ ম রেজাউল করিম। এ সময় সিডিএর কাজের ধীরগতি এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগ ও সংস্থার সাথে সমন্বয়ে দুর্বলতার বিষয়টি নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন বরাদ্দ আসে। কিছু ক্ষেত্রে রাজধানীর চেয়েও বেশি বরাদ্দ পায় চট্টগ্রাম। উন্নয়ন কাজ নিয়ে কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না। সব সরকারি সংস্থা ও বিভাগকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজের সমন্বয় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন, যারা উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত আছেন তারা স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাকা কোনো সমস্যা না। তিনি চান এমন প্রকল্প যা মানুষের উপকারে আসবে, এলাকার উন্নয়ন হবে।
কর্ণফুলী টানেলের মূল খননকাজ এবং সিডিএ’র কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সফরে আসবেন জানিয়ে পূর্তমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে এসে প্রধানমন্ত্রী যদি হতাশ হন যে, চট্টগ্রামে এত ফান্ড দিয়েও এখানে কোনো কাজ হয় না, একটা সময় দেখবেন প্রধানমন্ত্রীর শত ইচ্ছা থাকলেও তার মন কিন্তু আর ভালো থাকবে না আপনাদের (কর্তাদের) কারণে। প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চট্টগ্রামের মানুষ। এই ক্ষতির মুখোমুখি চট্টগ্রামের জনগণকে হতে দেয়া ঠিক হবে না।
নাগরিক সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে পূর্তমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র যেভাবে চট্টগ্রামের প্রতি সুদৃষ্টি রেখেছে চট্টগ্রামের মানুষেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা একটি খাল পরিষ্কার করছি, কেউ যদি বর্জ্য-আবর্জনা খালের ভেতরে ফেলে দেয় তাহলে কোনো সমাধান আসবে না। শেখ হাসিনার সরকার, মন্ত্রী, সচিবের পক্ষে তো খাল প্রতিনিয়ত পাহারা দেয়া সম্ভব না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিডিএ’র বোর্ড সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, জসিম উদ্দিন শাহ, গিয়াস উদ্দিন, কেবিএম শাহজাহান, এম আর আজিমসহ সিডিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।