Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতা সমস্যা নিরসন আপাতত হচ্ছে না!

অবশেষে স্বীকার করলেন সিডিএ চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নাগরিক দুর্ভোগের প্রধান কারণ পানিবদ্ধতা। এরজন্য বিগত সরকারের আমলে অনুমোদন পায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ মেগাপ্রকল্প। কিন্তু প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না একথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। এ অবস্থায় বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত এ মহানগরীতে পানিবদ্ধতা সঙ্কট নিরসনে আপাতত কোনো সুখবর নেই। সামনের বর্ষা মৌসুম ও তার আগে-পরেও ডুবতে পারে মহানগরী।
গতকাল (শনিবার) সিডিএ ভবনে সম্মেলন কক্ষে গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান ছালাম বলেছেন, পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে না। যেহেতু এটি বৃহৎ প্রকল্প তাই এর কাজ শেষ হতেও সময় লাগবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।
সভার শুরুতেই সিডিএ বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব নগরীতে পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প দ্রæত শেষ করার দাবি জানিয়ে বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরুর এক বছর পার হয়েছে। অথচ এখনও তেমন অগ্রগতি নেই। খালগুলো যেভাবে ভরাট হয়ে আছে, আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রামবাসী আবারও পানিবদ্ধতার কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর জবাবে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী চট্টগ্রামের ৫৭টি খাল বিদ্যামান। সেখান থেকে ৩৬টি খাল প্রকল্পে বেছে নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি খালগুলো প্রকল্পের আওতায় আসবে। পানিবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা।
তিনি বলেন, ১১টি খালের ডিটেইল ডিজাইন তৈরি করতেই আবারও বর্ষা এসে গেছে। তাই ডিজাইন মোতাবেক কাজ বাদ দিয়ে আপাতত বিকল্প চিন্তা করতে হচ্ছে। ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পানিবদ্ধতা মোকাবেলা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ