Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইন ও আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ হলো কোর্ট অব রেকর্ড যা সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। এমতাবস্থায় আমাদের রায় লেখার জন্য দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারত ও পাকিস্তান এমনকি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন, সিদ্ধান্ত এবং জুরিস্টদের পর্যালোচনা আমাদের রায়ে সন্নিবেশিত থাকে। আমাদের দেশের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় অনলাইন ও প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয় অনেকগুলো ল-রিপোর্টে।
আমরা যেরকম ভারতের এআইআর, এসসিবি বা পাকিস্তানের পিএলডি পড়ে আমাদের জুডিশিয়ারিকে এনরিচড করতে পারি তেমনি অন্যান্য দেশ ও আমাদের ডিএলআর, বিএলডি, সুপ্রিম কোর্ট বুলেটিন ইত্যাদি পড়ে আমাদের জুডিশিয়ারি সম্পর্কে ধারণা পান এবং এখান থেকেও কোনো প্রিন্সিপাল নিতে পারেন। এমতাবস্থায় হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের রায় বাংলায় চাওয়া বোকামি এবং আমাদের আদালতকে পিছিয়ে নেয়ার শামিল। তাই বলে কি সমস্ত রায় ইংরেজিতে হবে? তাহলে আমাদের জনগণ বুঝবে কী করে? জনগণ রায় না বুঝলে তো সেটা জনগণকে মানতে বাধ্য করাটা অসাংবিধানিক হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে আমার মতে, সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো সকল রায়ের অপারেটিভ পোর্শন বাংলায় অনুবাদ করে দেয়া। এক্ষেত্রে রায়ের অপারেটিভ পোর্শন বাংলায় এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই থাকবে এবং তা দেশে-বিদেশে সবাই বুঝতে পারবেন। যেহেতু অপারেটিভ পোর্শন খুব বেশি হয় না, সেহেতু এটা খুবই সহজ এবং কার্যকর উপায়।
অন্যদিকে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বা প্রয়োগকৃত কিছু আইন যেমন দন্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি ও সাক্ষ্য আইন ইংরেজিতে প্রণিত এবং কোনো অথেন্টিক বাংলা ভার্সন আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক করা হয়নি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও কোনো বাংলা ভার্সন পাওয়া যায় না। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আইনসমূহ ইংরেজি ভাষায় প্রণয়ন করে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উপর প্রয়োগ করে বলবেন, রমহড়ৎধহপব ড়ভ ষধি রং হড় বীপঁংব. এটা আইন, মানবাধিকার এবং নৈতিকতার কোনো দিক দিয়েই সঠিক বলে আমি মনে করি না। অতএব, ইংরেজিতে প্রণিত সকল আইনের অথেন্টিক বাংলা ভার্সন প্রস্তুত করে আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি এবং উচ্চাদালাতের রায়সমূহের অপারেটিভ পোর্শন ও বাংলায় অনুবাদ করে দেয়া জরুরি।
ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।



 

Show all comments
  • Mamun ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:১১ পিএম says : 0
    খুব সূনদর হতো যদি এমনটা করতো,জনাব আইন বিষয়ে আরো লেখেন। যাতে আইনের কিছু পরিভাষা পাথমিক ৈ ধারণা লাভ করতে পারি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন