পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদী রক্ষায় দ্বিতীয় পর্যায়ে উচ্ছেদ অভিযানের জোর প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। নদীতীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আরও ২ হাজারের বেশি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে দখলদাররাও তাদের স্থাপনা রক্ষায় নানা চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম দফার অভিযান শেষ হওয়ার আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে দেয়া পিলার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর ফলে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে নতুন করে জরিপ করতে হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে জরিপ শুরু করবে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন গতকাল সোমবার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রথম পর্বের সফল উচ্ছেদ অভিযানের পর আরও দুই পর্বের অভিযান শুরুর জোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। সকল প্রস্তুতি শেষ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। তিনি বলেন, দখলদাররা যতই চেষ্টা করুক অবৈধ কোন স্থাপনা রক্ষা করতে পারবে না। সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে কর্ণফুলীর দুই কূল উন্মুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে কোনরকম বাধা-প্রতিবন্ধকতাকে আমরা পরোয়া করবো না। এদিকে দখলদারেরা সীমানা তুলে ফেলায় নতুন করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করতে হচ্ছে। আদালতের নির্দেশের পর জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর কর্ণফুলীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। নগরীর নেভাল অ্যাকাডেমি সংলগ্ন নদীর মোহনা থেকে মোহরা এলাকা পর্যন্ত অংশে ২০১৫ সালে জরিপের কাজ শেষ করা হয়। জরিপে নদীর দুই তীরে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। জরিপকালে জেলা প্রশাসন যে সীমানা দিয়েছিল তা উচ্ছেদ করেছে দখলদারেরা।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সীমানা পিলার সরিয়ে ফেলায় নতুন করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হবে। আজ সকাল থেকে নগরীর বারিক বিল্ডিং পয়েন্ট থেকে শুরু করে পতেঙ্গা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে লাল কালির দাগ দেয়া হবে। পরদিন চাক্তাই থেকে শুরু হবে জরিপ। অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার পর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জরিপে যে স্থাপনা ছিল গত তিন বছরে স্থাপনার সংখ্যা আরও বেড়েছে। সেগুলোকেও উচ্ছেদের জন্য চিহ্নিত করা হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ জরিপে কর্ণফুলীর মোহনা থেকে শুরু করে কালুরঘাট রেলসেতু পর্যন্ত মোট ২১৮৭টি স্থাপনা ছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তীসহ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ১২৫ একর মূল্যবান জমি উদ্ধার সম্ভব হবে।
মৎস্য হিমাগার সরাতে নোটিশ
কর্ণফুলীর তীরে মৎস্য আড়ত ঘিরে গড়ে ওঠা ২ হাজার বর্গফুটের হিমাগারটি সরাতে ৭ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাছে ইজারা দেয়া চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মধ্যবর্তী ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৬৩ বর্গফুট জায়গা সংলগ্ন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সংরক্ষিত এলাকা। সেখানকার ২ হাজার বর্গফুট জায়গায় অবৈধভাবে হিমাগার স্থাপন করা হচ্ছে। ৭ দিনের মধ্যে স্থাপনাটি অপসারণ করা হলে মূল ইজারা তথা মৎস্য আড়তের ইজারা বাতিল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।