Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্মুক্ত কর্ণফুলী তীরের একাংশ উচ্ছেদের জঞ্জাল সরানো হচ্ছে

কেউ হুমকি দিলে উচ্ছেদের গতি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে, শুরু হয়েছে শেষও হবে - ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত কর্ণফুলী তীরের একাংশ এখন উন্মুক্ত। চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে নদীর বুকে নৌকা-সাম্পান, জাহাজ-স্টিমার চলাচল সহজেই চোখে পড়ছে। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়েই এ মুহূর্তে কর্ণফুলীর দৃশ্য অপরূপ। এ এক অন্যরকম কর্ণফুলী।
গত সোমবার থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত টানা ৫ দিনের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদকৃত পাকা, আধা পাকা, কাঁচাঘর, মিল-কারখানা, গুদাম, সংগঠন সমিতির অফিস ইত্যাদি মিলে ৩৮০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়ত্তে এসেছে ১০ একর জমি। গতকাল শনিবার থেকে উচ্ছেদকৃত উক্ত জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভাঙাচোরা স্থাপনা, জঞ্জালসমূহ অপসারণের কাজ সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় শুরু হয়। নদীতীরে পড়ে থাকা স্থাপনার ভগ্নাংশগুলো তুলে নিতে দেখা যায় অভিযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে গতকাল বিকেলে কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম এবং এ যাবৎ উচ্ছেদের পর উন্মুক্ত জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এ সময় তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করে বলেন, কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে হুমকি-ধমকি দিয়ে কেউ পার পাবে না। যদি কেউ হুমকি দেয় তাহলে উচ্ছেদের গতি দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আগের বাংলাদেশ এখন নেই। এটা একুশ শতকের বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখানে আমাদের ইন্টেলিজেন্স তৎপরতা ভেরি স্ট্রং। কেউ হুমকি দেবে আর আমরা তা আমলে নেবো এমনটি হবে না। যার সৎ সাহস আছে সে কি হুমকি দেয়? কে কী হুমকি দিচ্ছে আমরা তা নিয়ে ভাবছি না, অবৈধ দখল করে কেউ পার পাবে না।
মন্ত্রী বলেন, অনেকে মনে করছেন উচ্ছেদ অভিযানের শুরুটা করলাম, তারপর মনে হয় উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাবে। নো, সেটা কিন্তু হবে না। আমি থাকতে উচ্ছেদের কাজ বন্ধ করতে দেবো না। শুরু হয়েছে, শেষও হবে। কর্ণফুলী নদীকে নিয়ে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তার বাস্তবায়ন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ

১৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ