পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা সর্বষেশ গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে দলটির সদস্য ও তাদের পরিবার-পরিজনরা। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মিলিশিয়ারা গ্রামটির দিকে অগ্রসর হতে থাকায় তারা গ্রাম ছাড়ছে। নারী, পুরুষ, শিশু এমনকি গুরুতর আহতরাও দলে দলে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অনেকেই সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গ্রামটির আয়তন প্রায় ৫০ স্কয়ার কিলোমিটার বলে জানিয়েছে। বিবিসি জানায়, আইএস যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাঘাজ গ্রামে পৌঁছাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, সিরিয়া এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে থাকা শতভাগ ভূখন্ড আগামী সপ্তাহ নাগাদই মুক্ত করা হবে। ট্রাম্পের এ ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর তৎপরতার মুখে বেকায়দায় পড়েছে আইএস যোদ্ধারা। বাঘাজে পৌঁছানো বেশিরভাগ আইএস যোদ্ধাই আহত। বিমান হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকে এর মধ্যে আছে। গত দু’সপ্তাহ ধরেই আইএস যোদ্ধা ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা পালিয়ে গিয়ে এসডিএফ এর হাতে আটক হচ্ছে। যোদ্ধাদের মধ্যে আছে সিরীয়, ইরাকি ছাড়াও বিদেশিরা যারা ইউরোপীয় বা অন্য দেশগুলো থেকে আইএস এ যোগ দিয়েছিল। তাদের কাউকে কাউকে বন্দিশিবিরে রাখা হচ্ছে আবার কাউকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পত্রিকা। পত্রিকাটি আরো বলেছে, এসডিএফ কমান্ডাররা আইএস এর হাতে বন্দি তাদের কয়েকজন সদস্যের মুক্তির জন্য দলটির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। আইএস জঙ্গিদেরকে এর বিনিময়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে প্রবেশের জন্য নিরাপদ পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া হতে পারে। ওই প্রদেশটি সিরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।