Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিটিং বাসের নামে হয়রানি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

গণপরিবহনে চলছে চরম নৈরাজ্য। সিটিং সার্ভিসের নামে ৯৬ শতাংশ বাস চলছে দরজা বন্ধ করে। আসনের অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে। অথচ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত। আর ৬২ শতাংশ যাত্রী বাস চলা অবস্থায় ওঠানামা করতে বাধ্য হচ্ছে। এ ছাড়া মিটারের বদলে ৯৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে চুক্তির মাধ্যমে। রমজানেও যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রতিদিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে মালিক সমিতি বা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর তৎপরতা নেই। বর্তমানে ঢাকা শহরে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের কোনো সুস্থ পরিবেশ নেই। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা পুলিশের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে মোটরযান আইন প্রয়োগ করা হয়, তখন বাস মালিকরা বাস চালানো বন্ধ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে থাকে। বাস মালিকরা জানায়, প্রতিটা বাস ২০ শতাংশ আসন খালি নিয়ে চলবে, এমনটা ধরেই ভাড়া ঠিক করা হয়েছে। তাহলে আলাদা করে সিটিং সার্ভিস চালু রাখা বা আলাদা ভাড়া নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করার ফলে দ্রুত প্রাইভেট কার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু যানজটমুক্ত মহানগরীর জন্য গণপরিবহন ব্যবস্থার নৈরাজ্য দূর করা সময়ের দাবি। রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিলে গণপরিবহনে দৃশ্যমান পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করি।
অমিত বণিক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন