মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হিটলার যে বাড়িতে জন্মেছিলেন, সেই বাড়ির মালিককে ১৫ লাখ ইউরো বা ১৪২ কোটি টাকারও বেশি দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে অস্ট্রিয়ার একটি আদালত৷ বাড়িটিতে ১৮৮৯ সালে জন্মেছিলেন নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলার৷ খবর ডয়চে ভেলে।
অস্ট্রিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা আদালত বুধবার অস্ট্রিয়ার সরকারকে এই নির্দেশ দেয়৷ বাড়ির মালিক গেরলিন্ডে পোমেরকে এই টাকা দিতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে৷ পোমেরের আইনজীবীরা এই পরিমাণ অর্থই দাবি করেছিলেন৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিটলার যে বাড়িতে জন্মেছিলেন, তার মালিক ছিলেন পোমের পরিবার৷ কিন্তু ১৯৩৮ সালে নাৎসীবাহিনী ক্ষমতায় এলে বাড়িটি পোমের পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে নেন হিটলারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মার্টিন বোরমান৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার আওতায় ছিল৷ বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পোমের পরিবার বাড়িটি ফিরে পেয়েছিল৷ গেরলিন্ডে পোমের ১৯৭৭ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়িটি পান৷ কিন্তু নাৎসীরা ওই বাড়িটিকে ঘিরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় অস্ট্রিয়া সরকার কয়েক বছর পরই বাড়িটির ইজারা নিয়ে নেয় পোমেরের কাছ থেকে৷
২০১১ সাল পর্যন্ত এটি প্রতিবন্ধীদের আশ্রয়কেন্দ্র ছিল৷ কিন্তু সরকার যখন ওই বাড়িতে হুইলচেয়ার চলাচলের উপযুক্ত করে সংস্কারের আগ্রহ দেখায়, তখন পোমের ইজারার চুক্তি বাতিল করেন৷ পোমেরের কাছ থেকে বাড়িটি কেনার চেষ্টা করে কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৬ সালে অস্ট্রিয়া সরকার তিন তলা ভবনটি বিক্রয়ের নির্দেশ দেয়৷ কিন্তু পোমের বাড়িটি বিক্রির নির্দেশ নাকচ করে দেন৷ এই নির্দেশকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তিনি আদালতের আশ্রয় নেন৷ কিন্তু তখন আদালতের রায় রাষ্ট্রের পক্ষে যায়৷ হিটলারের জন্মস্থান ওই বাড়িটি নব্য নাৎসী ও অন্যান্য চরমপন্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এবং প্রতি বছর এই বাড়িটির সামনে ছবি তোলার জন্য চরমপন্থীরা দলে দলে সেখানে যায়৷
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।