নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রশ্নাতীতভাবে সর্বকালের সেরা তিনি। আছে ২১টি সেঞ্চুরি, যার পাঁচটিরই সাক্ষী মিরপুর, বিপিএল। বিপিএলে এসে প্রতিবারই আসর মাত করা ক্রিস গেইলের সেরা সময় দেখা মিলেছে যে মাঠে, সেখানেই তার পড়ন্ত বিকেল যেন দিচ্ছে দিন ফুরানোর আভাস! পুরো আসরে তো বটেই, প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গেইলের ‘অগেইলীয়’ ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সের ডুবে যাওয়ার পর এই প্রশ্নটিই আরও বড় হতে চলেছে।
প্রথম রাউন্ডে নিজের চিরায়ত স্বভাবের বাইরে গিয়ে পেয়েছিলেন এক ফিফটি, বাদ বাকি ম্যাচে রান না পেয়ে ধুঁকেছেন। আগেরবারের মতো প্লে অফে বুঝি গেইল ধামাকার দেখা মিলবে এই আশায় ছিলেন সবাই। কিন্তু প্লে অফেও সেই বেহাল দশা। গত সোমবার রাতে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরে ফাইনালে যাওয়ার প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেছে রংপুর। এই ম্যাচে ৪৬ রান করেও দলের হারে দায় অনেকটা গেইলেরই।
সেই দিন যে আর আগের মতো নেই, ৪৬ রান করার ধরনই বলে দেয়। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে বড় রান চেয়েছিলেন মাশরাফি মর্তুজা। উইকেটে গিয়ে গেইল সেই বার্তায় ঝড় তুলতে পারেননি। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটেও পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভার থেকে রংপুর তুলেছে মাত্র ৩৪ রান। যার পুরোটা দায় গেইলই। ম্যাচ শেষে পাওয়ার প্লের এই ছয় ওভারের কাল হয়েছে স্বীকার করেছেন অধিনায়ক মাশরাফিও, ‘মনে হয় ১৫-২০ রান কম হয়েছে। প্রথম ছয় ওভারে আমরা অনেক সময় নিয়েছি। তখন এমনও না যে উইকেট পড়েছে। প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ৩৪ রান। এই ফরম্যাটে খুব কঠিন কারণ উইকেট যেমন ছিল... যদি খারাপও থাকে সবাই চেষ্টা করে প্রথম ছয় ওভারে যত বেশি রানটা নেওয়ার। ওখানে আমরা ১৫-২০ রানে পিছিয়ে যাই।’
পাওয়ার প্লেতে গেইলের দুই জুটি- মেহেদী মারুফ আর মোহাম্মদ মিঠুন খেলেছেন মাত্র ৬ বল। বাকি সবই খেলেছিলেন গেইল। রান আসছে না দেখে হতাশা বেড়েছে, ঝুঁকি নিয়ে দৌঁড়াতে গিয়ে আউট করেছেন মিঠুনকে। নিজে ৪৫ রানে ক্যাচ দিয়ে বাঁচার পর ৪৬ রানই আবার ক্যাচ দিয়ে ইতি ঘটিয়েছেন ইনিংসের। ৪৬ রান খেলতে লাগিয়ে দিয়েছেন ৪৪ বল। রিফ্লেক্স কমে গেছে, হাত চলছে না দ্রæত। আগে যেসব শট অনায়াসে ছক্কা হতো। সেগুলোই জমেছে ফিল্ডারের হাতে। আগেরবার ঝড় তুলে রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন করা সেই গেইল কি এবার দলের জন্য বোঝা? অধিনায়ক তবু আশায় আছেন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঘুরে দাঁড়াবেন টি-টোয়েন্টির সেরা নাম, ‘এখনো টুর্নামেন্টে আমরা ভালোভাবেই আছি। কারণ এখনো একটা ম্যাচ, আবারও সেমিফাইনাল। ওর মতো খেলোয়াড়ের কাছে আশা করতে পারি বড় ম্যাচে ও এগিয়ে আসবে। এই ফরম্যাটে সব সময় ওর দিকেই চোখ থাকে। আগেরবারও সেই কাজটাই করেছে। আশা করছি ও ক্লিক করবে।’
একদিকে রংপুর যেখানে রান না পাওয়া গেইলকে নিয়ে খেদ নিয়েও বাঁধছে আশা ঠিক তার বীপরিত চিত্র আজকের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস শিবিরে। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ১৮.৮০ গড়ে মাত্র ১৮৮ রান করেছেন গেইল। যার মধ্যে চল্লিশোর্ধ ইনিংস মাত্র দুটি। সেগুলোও ঠিক যেন ‘গেইলসুলভ’ নয়। কুমিল্লার মত এই ঢাকার বিপক্ষে ৫৫ রান করেছিলেন ৪০ বলে। আর গেইলের এই খেলতে না পারাটাই ভাবাচ্ছে ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনকে, ‘ক্রিস (গেইল) খেলতে পারছে না, এটি আসলে ভয়েরই কারণ। এর আগের ফাইনালে ক্রিস গেইলের একশই আমাদের পেছনে ফেলে দিয়েছিল। ক্রিস গেইল হলো ক্রিস গেইল। এটি আসলে তুলনা করার কিছু নেই।’
গত বিপিএলেও টুর্নামেন্টের অনেকটা অংশজুড়ে রান পাননি গেইল। তবে শেষ তিন ম্যাচে করেছিলেন দুই সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ফাইনালে তার মাত্র ৬৯ বলে অপরাজিত ১৪৬ রানের দানবীয় ইনিংস ঢাকার শিরোপা-স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেটিও মনে করিয়ে দিলেন খালেদ। তবে গেইলকে নিয়ে আলাদা করে চিন্তার কিছু দেখছেন না ঢাকার কোচ, ‘সে কখন মারবে কি মারবে না, সেটি তার ব্যাপার। ক্রিসকে নিয়ে আলাদা করে সেভাবে চিন্তা করার কিছু নেই যে মারছে না বা প্রথম বল থেকে হয়তো মারা শুরু করবে। তো আমার কথা সেটি না। এরপরও আমরা ক্রিসকে নিয়ে পরিকল্পনা করি আর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটাই বড় ব্যাপার। ওদের ম্যাচ উইনার অনেক আছে। রাইলি রুশো আছে, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সুতরাং আমি বলব যে এই কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো ক্রিকেটার সে এবং গেম চেঞ্জার। মাশরাফির কথা আলাদা করে বলতেই হয়। আর ওদের যারাই আছে তারাই ভালো খেলতে সক্ষম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।