Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিধ্বংসী বাটলার-গেইলে রেকর্ড বইয়ে ওলটপালট

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৯, ১২:১০ এএম

গ্রানাডার সেন্ট জর্জ স্টেডিয়ামে পরশু রাতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ডময় এক ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-১এ এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (৮৮ বলে ১০৩) ও জস বাটলারের (৭৭ বলে ১৩ চার ও ১২ ছক্কায় ১৫০ রান) ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ৪১৮ রান তোলে ইংলিশরা। ফিফটি করেন জনি বেয়ারস্টো (৪৩ বলে ৫৬) ও অ্যান্ড্রু হেলসও (৭৩ বলে ৮২)। জবাবে শূন্য রানে শেষ ৪ উএকট হারানো উইন্ডিজ ১২ বল হাতে রেখে ৩৮৯ রানে গুটিয়ে যায়। এক ওভারে চারটি সহ ৮৫ রানে ৫ উইকেট নেন আদিল রশিদ। ৬০ রানে ৪ উইকেট নেন মার্ক উড। স্টোকসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৭ বলে ১৬২ রান করেন ক্রিস গেইল। ওয়ানডেতে যা তার ২৫তম শতক, সিরিজের দ্বিতীয়। ক্যারিবীয় ইনিংসে ফিফটি ইনিংস আর মাত্র একটি, কার্লোস ব্রাথওয়েটের (৩৬ বলে ৫০)।
ম্যাচে দলীয় ও ব্যক্তিগত মিল অনেকগুলো রেকর্ড হয়েছে। যা পাঠকদের সুবিধার জন্য নিচে সংখ্যা আকারে প্রকাশ করা হলো-
৮০৭ গ্রানাডার ম্যাচে মোট রান। একদিনের ক্রিকেটে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে জোহানেজবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়ার সেই রেকর্ড গড়া ম্যাচে রান এসেছিল সর্বোচ্চ ৮৭২। দ্বিতীয়টি ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে রাজকোটে, ৮২৫ রান।

৫৩২ এক ম্যাচে বাউন্ডরি থেকে আসা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

৪৬ একদিনের ম্যাচে মোট ছক্কার বিশ্বরেকর্ড! ২৪টি হাঁকায় ইংলিশ ব্যাটসশ্যানরা, ২২টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১ ৩৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েও হেরে যায় উইন্ডিজ! এর চেয়ে একবারই বেশি রান করেও জিততে না পারার রেকর্ড আছে, রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৪১১ রান করেও হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। উইন্ডিজের সর্বোচ্চ দলীয়ও সংগ্রহও এটি।

১৫৪ শেষ দশ ওভারে ইংল্যান্ডের তোলা রান, ওয়ানডেতে যা এক দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। উইন্ডিজের বিপক্ষেই ২০১৫ সালে শেষ দশ ওভারে ১৬৩ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যে ম্যাচে দ্রততম সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ছক্কার রেকর্ড গড়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

২৪ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ছক্কার সংখ্যা। এক ম্যাচে যা সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল ২৩ ছক্কার, আগের ম্যাচেই যে রেকর্ড গড়েছিল ক্যারিবীয়রা!

৪ এ নিয়ে চতুর্থবারের মত ওয়ানডে ক্রিকেটে চারশ’র বেশি সংগ্রহ দাঁড় করালো। সবগুলোই ২০১৫ বিশ্বকাপের পর। অন্য দলগুলোর কেউই একবারের বেশি এই সংগ্রহ গড়তে পারেনি।

৭৬ ১৫০ রানে পৌঁছাতে জস বাটলারের বল সংখ্যা। এর চেয়ে কম বলে দেড়শ’ করার রেকর্ড মাত্র একটি। ২০১৫ বিশ্বকাপে সিডনিতে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৫০ রানের মাইলফলক পার করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। শেষ দশ বলের প্রত্যেকটিই এদিন বাউন্ডারি ছাড়া করেন বাটলার। সব মিলে বাটলারের ১৫০ রানের মধ্যে ১২৪ রানই আসে বাইন্ডারি থেকে, মোটের যা ৮২.৬৬ শতাংশ!

৬০৫১ ইয়ন মর্গ্যানের ওয়ানডেতে সংগ্রহীত রান, সেঞ্চুরির পথে এদিন প্রথম ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মর্গ্যান। আয়ারল্যান্ডের হয়েও ২৩ ম্যাচে ৭৪৪ রান আছে মর্গ্যানের।

১২ ম্যাচে বাটলারের ছক্কার সংখ্যা। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার যা ব্যক্তিগত ইংলিশ রেকর্ড। আট ছক্কার আগের রেকর্ডটিও ছিল তার।

২ রান তাড়ায় ক্রিস গেইলের ১৬২ রানের চেয়ে ব্যক্তিগত বেশি রান করেও হারার ঘটনা আছে আরো দুটি-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের ১৭৫ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৭৩।

১৪ ইতিহাসের চতুর্দশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে এদিন দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন গেইল। এজন্য তার লেগেছে ২৮২ ইনিংস, যা অষ্টম দ্রুততম। সময়ের হিসেবে যা ১৯ বছর ১৬৯ দিন, যে কোন খেলোয়াড়ের জন্য যা সর্বোচ্চ সময়।

৫০০ প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে ৫০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন গেইল।

৩০ সিরিজে তিন ম্যাচে গেইল হাঁকিয়েছেন ৩০ ছক্কা! এক সিরিজে বা টুর্নামেন্টে যা সর্বোচ্চ ছক্কার ব্যক্তিগত রেকর্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিধ্বংসী বাটলার-গেইলে রেকর্ড
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ