নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সাধারণ সৌজন্য বিনিময় পর্যন্ত আর সীমাবদ্ধ নেই, দুজনের সম্পর্কটা এখন অনেকই বেশি উষ্ণ। নইলে কি ক্রিস গেইলকে অমিতাভ বচ্চন নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেন? সেখানে গেইলের কাছে একটা ‘আবদার’ও করেছেন অমিতাভ। অবশ্য যত যাই হোক, গেইল সেটা নিশ্চয় রাখবেন না!
কিন্তু দুই ভুবনের দুই মানুষের এমন অন্তরঙ্গতা কবে থেকে? ঘটনার শুরু গত মাসে, অমিতাভকে একটা ক্রিকেট ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন গেইল। সেটা পেয়ে বিগ বি তো রীতিমতো অবাক, টুইট করে জানালেন গেইল যে তাঁকে চেনেন, সেটাই জানতেন না। পরে গেইলও পালটা টুইটে জানিয়েছেন, অমিতাভকে শুধু চেনেনই না, বলিউড কিংবদন্তির অভিনয়ের অনেক বড় ভক্তও সে। অমিতাভকে বলিউডের ‘শাহেন শাহ’বলেও সে কী প্রশংসা গেইলের!
বিগ বি হয়তো মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন, এরপর গেইল ভারতে এলে আপ্যায়নের সুযোগ ছাড়বেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মুম্বাই এল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে অবশ্য প্রথম ম্যাচটা খেলেছিল, সেখানে আবার ফিরে আগামীকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত। কাল গেইলকে তাই নিজের বাসায় ডেকে খাইয়েছেন।
কিন্তু চাইলেও তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানকে অমিতাভ শুভকামনা জানাতে পারেন না। নিজের দেশের অমঙ্গল তো কামনা করা যায় না! অমিতাভ তাই দুই কূলই রক্ষা করতে চাইলেন- গেইল সেঞ্চুরি করুন সমস্যা নেই, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন ম্যাচটা হারে! অমিতাভ যদি ডালে ডালে চলেন, গেইলও চলেন পাতায় পাতায়। রসিকতা করেই বললেন, সেঞ্চুরি তাঁর দরকার নেই, দল জয় পেলেই হলো।
গেইলকে নিজের আত্মজীবনী উপহার দিয়েছেন অমিতাভ। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আতিথেয়তা ও নিমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। বইগুলোর জন্যও। বস চাইছেন আমি যেন সেঞ্চুরি করি আর ভারত জেতে। আমার সেঞ্চুরি দরকার নেই, জয়টাই দরকার।’ অমিতাভও টুইট করেছেন, ‘জানতাম না ও আমার এত বড় ভক্ত। খুবই অমায়িক একজন মানুষ। আশা করি ও কাল আমার প্রশংসার প্রতিদান দেবে।’
গেইল এই কথা রাখার মতো বোকা নিশ্চয়ই নন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।