Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুভাঢ্যা খাল রক্ষা করুন

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল অস্তিত্ব সংকটে। সঠিক তদারকির অভাবে খালটির এখন মরণদশা। বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে খালের প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে পানিপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। একসময় এই খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত অনেকে। চলাচল করত ছোট-বড় নৌকা। কিন্তু দখল ও দূষণের কারণে মাছ তো পাওয়াই যায় না বরং খালটি রক্ষা করা এখন মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের তদারকিতে কয়েক বছর পর পর তলদেশের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, খনন ও পানিপ্রবাহ সচল করার ব্যবস্থা করা হলেও পরে আবার বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনায় ভরে যায় খালটি। নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে দুই পাশের পোশাক কারখানা ও স্থানীয় দোকানগুলোর বিভিন্ন বর্জ্য, গৃহস্থালি ও অন্যান্য বর্জ্য হরহামেশাই ফেলা হচ্ছে খালে। খালপারের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা যত দিন খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ না করবে তত দিন ভরাট হতেই থাকবে। স্থানীয় পোশাক কারখানার টুকরা কাপড় ও পলিথিনে ভরে গেছে খালের বেশির ভাগ অংশ। দূষণে-দুর্গন্ধে একাকার খালের চারপাশ। খালটি যেন মশার কারখানা। শুভাঢ্যা খাল সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি নিষ্কাশন, পরিবেশ ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। তাই এখনই খালটিতে বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। খালটিকে মেরে না ফেলে তার সুফল পাওয়ার চেষ্টা করা দরকার। এ জন্য আশপাশের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে খালের গুরুত্ব বোঝানোসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া দরকার। খালপারের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলাসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। দুই তীর রক্ষণাবেক্ষণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি দুই পাশে হাঁটাচলার রাস্তা তৈরি করলে দখল ও দূষণের থাবা থেকে খালটিকে রক্ষা করা সহজ হবে। অন্যথায় প্রতিবছর পুনঃখনন আর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। এ ব্যাপারে খালপারের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাধন সরকার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন