পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। সম্প্রতি ভারতীয় আমলাতন্ত্র থেকে পদত্যাগ করা আইএএস অফিসার শাহ ফয়সাল এ কথা বলেন। বুধবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে ফয়সাল বলেন, যখনই ভারত ও পাকিস্তান সংলাপ শুরু করেছে তখন দুই পাশেই শান্তি বিরাজ করেছে। জম্মুতে, কাশ্মীরে, সীমান্তবর্তী গ্রামে, জওয়ানদের জীবনে ও নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ছিলো। সঞ্জয় নাহারের নেতৃত্বাধীন শারহাদ এন্ড আরহাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কাশ্মীর উৎসবে যোগ দিতে পুনেতে যান ফয়সাল। তিনি সম্প্রতি কাশ্মীর রাজ্যের পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১০ সালে ইন্ডিয়ান এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংলাপ কাশ্মীর ইস্যুর একটি বিশ্বাসযোগ্য সমাধান দেবে। সামরিক সমাধান শুধু উভয় পক্ষে কবরের সংখ্যা বাড়াবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংলাপ আয়োজনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর বিধায় অসাধারণ রকমের সাড়াদান প্রয়োজন। ফয়সাল আরো বলেন, গত এক দশকের মধ্যে ২০১৮ সালে কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, সেনা ও কাশ্মীরি তরুণ- দু তরফেই। প্রতিদিন কাশ্মীরে পাচ থেকে ছয়টি করে মৃত্যুর খবর এসেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ভারত সংলাপ শুরু করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়সাল বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংলাপ শুরু করতে হবে। সংলাপ হতে হবে সর্ব-অন্তর্ভুক্তিমূলক। এতে সকল অংশীজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাতে বিচ্ছিন্নতাবাদি, ধর্মীয় নেতা, আঞ্চলিক নেতা, জম্মুর-কাশ্মীর ও লাদাখের নেতারা থাকবেন। কেন চাকরি ছেড়ে দিলেন, এই প্রশ্নের জবাবে ফয়সাল বলেন, আমি কাশ্মীরের প্রতি মনযোগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছি। আমি চেয়েছি কাশ্মীরের করুণ পরিবেশের প্রতি কেন্দ্রের মনযোগ আকৃষ্ট করতে। কাশ্মীর বা দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন লাশের কফিনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় তার সঙ্গে ঘৃণার জন্ম হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি কখনোই কাম্য হতে পারে না। আমি চেয়েছি সরকার যেন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে, সামরিক সমাধানের জন্য নয়। আমরা কেন সেনাদের জীবনের দায় নেবো? আর কতো সেনা ও তরুণ জীবন দেবে? আমাদেরকে এই ইগোর যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। তিনি আলাদা রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা বাতিল করে দেননি। ফয়সাল বলেন, আমি প্রথমে এ নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু আমি তরুনদের কাছ থেকে যে ধরনের সারা পাচ্ছি, তাতে মনে হয় আমাকে রাজনৈতিক দল গঠন করতে হবে। তার ধারণায় প্রভাবিত না হতে হিজবুল মুজাহিদিন জনগণের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে সে ব্যাপারে ফয়সাল বলেন, কাশ্মীরের পরিবেশ অবিশ্বাসে পূর্ণ। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।