Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিপিএফভুক্তদের ফরিয়াদ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সিপিএফ বা প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলভুক্তদের কথা বলছি। যারা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সেক্টর করপোরেশন থেকে অবসর নিয়ে এ তহবিলের আওতায় এককালীন কিছু অর্থ পেয়েছিলেন, তাদের কথা কেউ কি কখনও বলি? সরকারি অফিসে যাদের চাকরি অস্থায়ী ছিল তারা ইচ্ছা করলেও এ তহবিল ছাড়তে পারতেন না। অন্যেরা মাঝেমধ্যে অপশন দিয়ে জিপিএফে আসতে পারতেন। কিন্তু তারা মনে করতেন, আর কন্টা দিন পরই চাকরি ছেড়ে দেবেন। তখন পেনশন পাওয়া যাবে না। কিন্তু ৫ বছর চাকরি হলেই নিজ ও প্রতিষ্ঠানের জমা উভয় অর্থই পাওয়া যাবে। তা ছাড়া ২০০৫-এর পে স্কেলের আগে পেনশন কখনোই বাড়েনি। পেনশনে ইনক্রিমেন্ট কল্পনাই করা যায়নি। সময়ের সঙ্গে সব বদলেছে। পেনশন এখন প্রতিটি পে স্কেলে বাড়ছে। বছরে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে। আশার কথা, সরকার পেনশন সমর্পণকারীদের এখন ১৫ বছর অন্তে পেনশনে ফিরিয়ে আনছে। এর আগে ২০১৭ সাল থেকে পেনশন সমর্পণকারীদের বিধবা স্ত্রীদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা ও বছরে দুটি উৎসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে, যা তারা আগে চাকরিতে সিপিএফভুক্তরা অন্যদের তুলনায় কম শ্রম দেননি। তাই সময়ের দাবি- ১. অবসরের পর একজন সিপিএফভুক্তকে চিকিৎসা, সাধারণ উৎসব ও নববর্ষ ভাতা দিতে হবে; ২. মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকেও ওইসব ভাতা দিতে হবে; ৩. পেনশন সমর্পণকারীর মতো অবসরের নির্দিষ্ট সময় পর তাকে ও তার মৃত্যু হলে স্ত্রীকে পেনশন দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ওয়াহিদুল ইসলাম আখন্দ
অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক, অগ্রণী ব্যাংক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন