বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রত্যন্ত পল্লীর একটি খামারে দম্পতিকে জবাই ও কুপিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করেছে দৃষ্কৃতিকারীরা। এ সময় ওই খামারের এক নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত দম্পতি হলেন নজরুল ইসলাম (৬২) এবং সালমা খাতুন (৪৫)। আর মারাত্মক জখম নৈশ প্রহরী মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৫)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রংপুরের তারাগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে রংপুর মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে হত্যার কারণ স্পষ্ট নয়।
জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৫৬), তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা খাতুন (৪৫) ও দুই ছেলেকে নিয়ে শহরের উল্লিখিত এলাকায় বসবাস করতেন। ঘটনার ৪/৫ দিন আগে ওই দম্পতি তাঁর ছেলের গড়ে তোলা খামার দেখাশোনার জন্য যান। ঘটনার রাতে এক নৈশ প্রহরীসহ তারা (দম্পতি) খামারেই অবস্থান করছিলেন। গভীর রাতে দুস্কৃতিকারীরা ওই খামারে প্রবেশ করে তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় খামারের নৈশ প্রহরী রাজ্জাককেও গলায় মুখে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুস্কৃতিকারীরা। সকালে খামারে আসা এক কাজের মেয়ে গিয়ে ওই দম্পতিকে খামারের ঘরের সামনে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা খুনের শিকার দম্পতির মোবাইল ফোন থেকে তাদের ছোট ছেলে স্বপনকে কে বা কারা খবর দেয় যে তার বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে।
সকালে দম্পতিকে খুনের খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো তদন্ত বিভাগসহ (পিবিআই) অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় তারা হত্যাকাÐের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ দুইটি উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই খামারের জমির মালিক আবু আসলাম, তার দুই ছেলেসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দুস্কৃতিকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
নিহত দম্পতির বড় ছেলে সোহেল রানা বলেন, আমার কিংবা বাবা-মার সঙ্গে কারো কোন রকম দ্ব›দ্ব ছিলনা। কিন্তু তারপরেও কে বা কারা কেন তার বাবা-মাকে এমন নৃসংশভাবে হত্যা করেছে তা অনুমান করতে পারছিনা। তিনি তার বাবা-মায়ের হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাজাহান পাশার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দম্পতি হত্যাকাÐের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। আশা করি দ্রæত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।