বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরে পানির অভাবে মৌসুমের শুরুতেই বোরো আবাদ নিয়ে কৃষকের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বোরো ধানের চারার বয়স বীজতলায় ৫০-৬০ দিন অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ খালে পানি না থাকায় বোরো আবাদের জমিতে চাষ ব্যাহত হচ্ছে। আর এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সদর উপজেলার অধিকাংশ কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় অধিকাংশ খালের পানি দিয়েই বোরো আবাদ করেন কৃষক। কিন্তু খালগুলোতে পানি না থাকায় এখন পাম্প মেশিনগুলো অকেজো হয়ে আছে। এ সময় খালে পানিতে ভরপুর থাকার কথা থাকলেও মজুচৌধুরীর হাটের মেঘনা নদীসংলগ্ন রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত সøুুইসগেটের নেভিগেশন লকসহ ১৪ ভেন্টের দুটি রেগুলেটর বিকল হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রেগুলেটর দুটির বেশিরভাগ গেট বন্ধ থাকায় নদী থেকে পানি খালে প্রবেশ করতে পারছে না। আর পর্যাপ্ত পানির অভাবে রোপণ করা যাচ্ছে না বোরো ধানের চারা। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মৌসুমে জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেটে গিয়ে দেখা যায়, রেগুলেটর দুটির ২৮টি গেট আছে। মূল রেগুলেটরের ১৪ গেটের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি ১২টি বিকল হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। পুরোনো রেগুলেটরের ১৪টি গেটই বন্ধ। এর মধ্যে তিনটি ভেঙে গেছে। জোয়ারের সময় গেট খুলতে না পারায় রহমতখালী খালে পানি ঢুকতে পারে না। ভাঙা গেট দিয়ে কিছু পানি প্রবেশ করলেও ভাটার টানে পানি আবার নদীতে চলে যায়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে মৌসুমের শুরুতেই জমিতে লাঙল দিতে পারছেন না কৃষক।
সদর উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের মোতালেব, বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, বোরো মৌসুমে কৃষকরা খালের পানির ওপর নির্ভর করে চাষাবাদ করেন। বিগত বছরগুলোতে মৌসুমের এমন সময় খালে পানি থাকতো। কিন্তু এ বছর খালে পানি না থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই পুকুর-দীঘি থেকে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি নিয়ে চারা রোপণের চেষ্টা করছেন। এতে চাষের ব্যয় বাড়লেও চাহিদামতো পানি পাওয়া না।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের ফারমার্স ফোরাম কো-অপারেটিভ সোসাইটি পানির অভাবে বোরো আবাদে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে ৯ দফা দাবি নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাজাহান আলি জানান, ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। খাল খনন শেষ হলে আর পানির অভাব থাকবে না এবং রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত সøুুইসগেটের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।