Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে বোরো আবাদে সফলতা

খরচ মিটিয়ে লাভ, কৃষকের মুখে হাসি

কক্সবাজার থেকে শামসুল হক শারেক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চলতি পমৗসুমে কক্সবাজার জেলায় পবারো আবাদে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে অধিক জমি চাষ করে কৃষকরা সফল হয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা এখন উন্নত মানের ফসল ঘরে তুলছেন। কৃষকদের সচেতনতা, সুষম সার প্রয়োগ ও সরকারের প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্যই এই সফলতা বলে দাবী করেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ ক ম শাহরিয়ার সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে কৃষকরা বোরো আবাদ করেছেন ৫৭ হাজার ৪৭২ হেক্টর জমিতে। গতবছরের তুলনায় এটি একহাজার হেক্টর বেশী। এখন ফসল তোলা শুরু হয়েছে। আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে পুরো জেলায় ফসল তোলা শেষ হবে বলেও জানান কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।
বোরো আবাদের পাশাপাশি কক্সবাজারে সব্জি চাষেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে বলে জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বোরো আবাদের মত গোটা জেলায় ব্যাপক সব্জি চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে ৯ হাজার ৬২০ পহক্টর জমিতে এই মৌসুমে সবজি চাষ হয়েছে। বিশেষ করে বাঁকখালী নদী ও মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে বরাবরের মতই ব্যাপক সবজি চাষ হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রতি পহক্টরে ৩মেট্রিক টন চালের উৎপাদন হয়ে থাকে। এর বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। এছাড়া প্রতি হেক্টর জমিতে শ্রমিক, সেচ ও বিদ্যুৎ বাবৎ খরচ হয়ে থাকে ৬০ হাজার টাকার মত। এপর্যন্ত প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় ফসলে তেমন কোন রোগবালাই যেমন নেই, তেমনি ফলনও হয়েছে বেশী। পাশাপাশি ধানের মূল্যও কম নয়। এতে করে কৃষকরা বেজায় খুশী।
উখিয়ার সৈয়দ হোসাইন চৌধুরী জানান, তিনি ৫ হেক্টর বোরো চাষ করেছেন। এবারে পরাগবালাই যেমন পনই, ফলনও হয়েছে বেশী। রামুর চাষি ফরিদ আহমদ জানান, তিনি এই মৌসুমে ২ একর বোরো চাষ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলবেন। সার, কীট নাশক ও কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ নিয়ে তিনি সুফল পেয়েছেন। একইভাবে চকরিয়ার ফরিদ মিয়া, পেকুয়ার আজিজুল হক, মহেশখালীর ফকির আহমদ, কুতুবদিয়ার আবুল হাসান ও টেকনাফের খলিল জানান, চলতি মৌসুমে তারা সবাই বোরো আবাদে ভাল সফলতা অর্জন করেছেন।
এদিকে কয়েকজন আমদানী কারক জানান, গত কয়েক বছর ধরে এভাবে আউশ, আমন ও বোরো চাষে ব্যাপক সফলতা থাকলেও বিদেশ থেকে চাউল আমদানীর কোন মানে হয়না। এতে করে ভোক্তারা যেমন ঠকে, তেমনিভাবে চাষিরাও মাহরোম হয় তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোরো আবাদে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ