Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরো আবাদে ব্যস্ত বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে বোরো আবাদ নিয়ে। নির্বাচনী ডামাডোলের কারণে আমন আবাদ নিয়ে নায্যমূল্য বঞ্চনার কথা তেমন প্রকাশ হয়নি। এবাবও মেলেনি কাঙ্খিত দাম। লাভের গুড় খেয়ে ফেলেছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। নায্যদাম না পাবার ব্যথা নিয়ে এখন মাঠে নেমেছে বোরো আবাদ নিয়ে। মাঠে মাঠে একই দৃশ্য বোরো চারা রোপনের। সেচ দিয়ে জমি তৈরী করে বীজতলা থেকে চারা এনে রোপন করা হচ্ছে। যদিও কদিন আগে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে বীজতলা পড়ে কোল্ড ইনজুরীর মুখে। আমন কাটার পরে শুরু হয় বোরোর বীজ তলার প্রস্তুতি।

এ অঞ্চলের কৃষকরা এবার আদর্শ, বীজ তলার দিকে বেশী নজর দিয়েছে। যাতে করে ভালো মানের চারা তৈরী করা যায়। আর ভালো চারা মানেই ভালো ফলনের প্রত্যাশা। আদর্শ বীজতলা নিয়ে কৃষক আর কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা জানান, গুনগত ও ভালো মানের ধানের চারা তৈরীর জন্য এক মিটার প্রস্ত বেড করে এবং দুই বেডের মাঝেনালা রেখে মুলত আদর্শ বীজতলা তৈরী করা হয়। সেচ দেয়া ও অতিরিক্ত পানি নিস্কাশনের সুবিধা, আন্ত পরিচর্যার সুবিধা সঠিক অনুপাতে বীজ তৈরীর জন্য এই বীজতলা। এখান থেকে ভালো মানের চারা তৈরী হচ্ছে। বীজ কম লাগছে। রোপনের সময় চারা সাশ্রয় হচ্ছে। এই বীজতলা তৈরীতে কম জমি লাগে। এক শতক আয়তনের বীজতলায় মাত্র ১২শত বীজ লাগে।

অন্যদিকে সনাতনী পদ্বতিতে বীজ লাগে প্রায় দ্বিগুণ। আদর্শ বীজতলার এক শতক বীজতলার চারা দিয়ে কুড়ি শতক ধানের জমি রোপন করা যায়। এ বীজতলার প্রত্যেকটি চারার সমান মানের হয়। চারায় কুশি গজায়। দুই একটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরী করা যায়। সনাতনী পদ্বতির বীজতলার চারা অপেক্ষাকৃত লিকলিকে চিকন হয় দূর্বল ও কম বাড়তি সম্পন্ন। ফলে ধানের ফলন কম হয়। বরেন্দ্র অঞ্চল ঘোরার সময় সনাতনী পদ্বতির পাশাপাশি আদর্শ বীজতলা নজর এড়ায় না। এসব বীজতলা থেকৈ চারা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিকটবর্তী হাটবাজারে। কেউ কেউ নিজেদের তৈরী বীজতলার চারা দিয়ে রোপন শুরু করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লাখ হেক্টরের বেশী জমিতে। এ থেকে চাল পাওয়া যাবে সাড়ে ৩৩লাখ মেট্রিকটন। এজন্য বীজতলা তৈরী করা হয়েছে ৪২ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ বলছে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া বোরো আবাদের অনুক‚লে রয়েছে। কৃষি বিভাগ ছাড়াও সেচ, বিদ্যুৎ, সারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো আবাদ নিয়ে সজাগ রয়েছে। বোরো আবাদ পুরোটাই সেচ নির্ভর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এমন কথা জানান। মাঠ পর্যা্েযয় কৃষি কর্মীরা শুরু থেকে নজরদারী করছে। তারা বলছে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে। এবার রাজশাহীতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫হাজার হেক্টরের কিছু বেশী জমিতে। গতবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬৬ হাজার হেক্টর ধরা হলেও আবাদ হয়েছিল ৬৯হাজার হেক্টর জমিতে। এবারও তেমনটি হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ