Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরো আবাদে সেচ খরচ কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

জমির উপরিভাগে উন্মুক্ত নালা পদ্ধতিতে সেচ দিলে পানি অপচয় হয় অর্ধেকের বেশি। পানির এমন অদক্ষ ব্যবহারে একদিকে কৃষকের সেচ খরচ বেড়ে যায়, অন্যদিকে চাপ পড়ে ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তরে। এ অবস্থায় পানির অপচয় রোধে স¤প্রতি সেচকাজে বারিড পাইপ ও এডবিøউডি পাইপ সংযোজন করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে পাতকুয়া। বিদ্যুৎ ও ডিজেলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। এসবের ফলে বোরো আবাদে কৃষকের সেচ খরচ কমেছে ২৫ শতাংশ।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রতি একর জমিতে বোরো ফসল উৎপাদনে কৃষকের মোট খরচের ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ ব্যয় হতো সেচের পেছনে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খরচ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
সেচের খরচ কমানোর পাশাপাশি পানির দক্ষ ব্যবহারও বেড়েছে। বছর ছয়েক আগেও যেখানে সেচের পানির ৬৫ শতাংশই অপচয় হতো, এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বর্তমানে সেচের পানির প্রায় ৪৯ শতাংশেরই দক্ষ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে কৃষকের খরচ কমানোর পাশাপাশি সেচনালার মাধ্যমে জমি অপচয় রোধ, পানির অদক্ষ ব্যবহারে পানির স্তর নেমে যাওয়া প্রতিরোধ ও বিদ্যুৎ-জ্বালানিরও ব্যবহার কমানো সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, জমিতে কখন কী মাত্রায় সেচ দিতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার কার্যকর প্রযুক্তি এডবিøউডি পাইপ (এলাকাভেদে হাতিম ও জাদু পাইপ নামে পরিচিত)। সাধারণত জমির দু-তিন জায়গায় ২৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা ও ৭-১০ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধসম্পন্ন বিশেষ প্রযুক্তির পাইপ বসিয়ে জমিতে পানির গভীরতা তদারক করা যায়। এটি ব্যবহারে ২৫ শতাংশ পানি ও প্রায় ৩০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ভ‚গর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে বিকল্প সেচের একটি মডেল হিসেবে ‘পাতকুয়া’ মডেল তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ভ‚গর্ভস্থ পানির চাপ কমানো সম্ভব হচ্ছে। এটিও এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হচ্ছে। আবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও খরচ বাঁচাতে সহায়ক বারিড পাইপ প্রযুক্তির স¤প্রসারণ করছে। নলক‚প থেকে মাটির এক মিটার নিচ দিয়ে বিশেষ পাইপের মাধ্যমে সেচনালাকে জমি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে বারিড পাইপ। বর্তমানে বিএডিসির অধীনে প্রায় নয় হাজার কিলোমিটার বারিড পাইপের মাধ্যমে সেচ দেয়া হচ্ছে। বিএডিসিও বারিড পাইপের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম বেগবান করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোরো আবাদ

২৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ