বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা ছালেহ আহমদ সেলিমের নেতৃত্বে উপশহর এলাকায় তীরজুয়া, ইয়াবা ব্যবসা ও আবাসিক হোটেলে নারী ব্যবসার মতো জঘন্য ব্যবসা চলছে। এমন অভিযোগ করেছেন শিবগঞ্জ সোনারপাড়া এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী ওয়ালিদ হোসেন। সেলিম ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে গোটা এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালিদ এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম ও তার নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে নগরীর শিবগঞ্জ সোনারপাড়া ও শাহজালাল উপশহরবাসী চরমভাবে অতিষ্ঠ। তিনি যত্রতত্র বাজার বসিয়ে টাকা কামাই করছেন। এছাড়া সেলিম ও তার বাহিনীর নেতৃত্বে উপশহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে মদ ইয়াবা ও নারী ব্যবসা চলছে। ওয়ালিদ বলেন, সিটি নির্বাচনে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জনসাধারণকে প্রায় জিম্মি করে সেলিম ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। পরে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের লোকদের নানাভাবে হয়রানি ও নাজেহাল করতে শুরু করেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগার দাবি করলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনীতে জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীর সংখ্যাই বেশি। এই বাহিনী দিয়ে তার সাথে দ্বি-মত পোষনকারী এলাকার আওয়ামী লীগপন্থী লোকজনের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, গত সিটি কর্পোরেশ নির্বাচনে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ পরিবারের ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম। আমি মাসুমের পক্ষে কাজ করি। এ কারণে তিনি আমাকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দিতে চাইছেন। কিছুদিন আগে বিদ্যুতের ‘এলিইডি লাইট’ লাগানো হলে প্রতিহিংসা পরায়ন সেলিম আমার বাসার সামনের দুৃটি খুঁটিতে লাইট লাগাননি। এর প্রতিবাদ করলে তিনি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তার বাহিনী ১৪ জানুয়ারি আমার বাড়ির সামনা থেকে মোটরবাইকসহ আমাকে অপহরণ করে ১৯নং রোডের কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি আমাকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় সেলিম বাহিনীর সদস্য রাসেল, চঞ্চল, নিয়াজসহ উপস্থিত প্রায় ৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারপিট করতে থাকে এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
ওয়ালিদ বলেন, একপর্যায়ে সেলিমের নির্দেশে শীর্ষসন্ত্রাসী চঞ্চল ধারালো অস্ত্র বের করলে আমি চিৎকার করি। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই এবং আত্মগোপন করি। পরে তারা আমাকে না পেয়ে সোনারপাড়ার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। বাসায় ভাংচুর করে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। আমার ছেলে ও প্রতিবন্ধী দুই ভাই এবং স্ত্রীকে নানাভাবে শাসিয়ে যায় ও খুন করার হুমকি দেয়। খবর পেয়ে এসএমপি’র শাহপরাণ (র.) থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেদিন রাতেই আমি শাহপরাণ (র) থানায় ছালেহ আহমদ সেলিম ও তার বাহিনীর সদস্য সন্ত্রাসী রাসেল, চঞ্চল নিয়াজসহ কয়েজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি আখতার হোসেন। সেলিম ও তার বহিনী অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার স্বজনরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।
ওয়ালিদ তাকে নির্যাতন ও তার বাসায় হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত ও কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কবির এমদাদ সাজ্জাদ শফিক সাহেদ নিয়াজ শামিম ও আজাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।