নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিগ মৌসুমে তাদের মধ্যে আর কোন ম্যাচ নেই। পয়েন্ট টেবিলে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এগিয়ে লিভারপুল। টানা দ্বিতীয় প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার জন্য তাই সিটিকে লিভারপুলের ব্যর্থতার জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। তবে শিষ্যদের এ নিয়ে ভাবতে নিষেধ করেছেন পেপ গার্দিওলা। লিভারপুলকে নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন সিটি কোচ। পরশু রাতে ঘরের মাঠে দশজনের উলভারহাম্পটনকে ৩-০ গোলে হারানোর পর এমন মন্তব্য করেন গার্দিওলা।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের মধ্যকার দুই লেগের খেলাই শেষ। তা থেকে সিটির অর্জনই বেশি। লিভারপুলের মাঠ থেকে মূল্যবান এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরার পর ঘরের মাঠে ইয়ুর্গুন ক্লাপের দলকে মৌসুমের প্রথম পরাজয় উপহার দেয় গার্দিওলার সিটি। এখন পর্যন্ত মৌসুমে লিভারপুলের হার ওই একটিই, তিন ম্যাচ হয়েছে ড্র। অন্যদিকে লিভারপুলের বিপক্ষে ভালো করলেও ২২ ম্যাচে মোট তিনবার পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়েছে সিটিকে, ড্র হয়েছে দুটি ম্যাচ। ২৮ বছর পর লিগ শিরোপা জয়ের পথে তাই এগিয়ে লিভারপুল। পয়েন্ট তালিকায় সিটির চেয়ে পরিষ্কার চার পয়েন্টে এগিয়ে অল রেড খ্যাত দলটি। টানা দ্বিতীয় শিরোপার জন্য তাই লিভারপুলের ব্যর্থতাই সিটির প্রধান কাম্য। তবে সেটা অবশ্যই নিজেদের ইতিবাচক ধারাবাহীকতা রক্ষা করেই। এদিন ম্যাচ শেষে তা স্বীকারও করেছেন গার্দিওলা, ‘লিভারপুলের ম্যাচ নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই, তাদের ভাগ্য তাদের হাতে। আমাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের উপর চাপ অব্যহত রাখা এবং একদিন হয়ত তারা ব্যর্থ হবে।’
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচের ১৯তম মিনিটে বার্নান্দো সিলভাকে বিপজ্জনক ট্যাকেল করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন উলফসের ফরাসি ডিফেন্ডার উইলি বলি। নয় মিনিট আগে করা গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে সিটি তখন এগিয়ে। দশজনের দলের বিপক্ষে ৩৯ মিনিটে ব্যবধানে দ্বিগুন করা গোলটিও করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের একজন কম নিয়ে খেললেও বাকি সময়ে সেই সুবিধা আর নিতে পারেনি সিটি। আক্রমণের বান বইয়ে দিয়েও জালের দেখা পাননি সানে-গন্ডোয়ান-স্টার্লিংরা।
তবে দিন শেষে লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমাতে পেরে খুশি গার্দিওলা। শিষ্যদের অবশ্য লিভারপুলকে নিয়ে ভাবতে মানা করেছেন কাতালান কোচ, ‘আমি তাদের বলেছি ক্যালেন্ডারে লিভারপুলের ম্যাচের দিকে তাকানোর দরকার নেই, এটা ভুলে যাও- কারণ এমনটা হতে থাকলে তোমরা নিজেরাই হেরে যাবে। আর তুমি যদি জিততে না পার তাহলে তারা চ্যাম্পিয়ন হবে। তাই নিজেরো জিতে তাদের উপর চাপ অব্যহত রাখতে হবে।’ তবে গার্দিওলা নিজেও জানেন সেটা কতটা কঠিন, ‘এই মনোনিবেশ ধরে রাখা অনেক কঠিন কারণ গত মৌসুমে আমরা যেটা করেছিলাম সেটা অসাধারণ। লিভারপুল একমাত্র দল যারা এবার অনেক ভালো করে চলেছে।’
এর আগে মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে দুই দলের পয়েন্ট কখনোই ৫১ পয়েন্ট পেরোয়নি। কিন্তু এবারের চিত্রটা ভিন্ন- ৫৭ পয়েন্ট লিভারপুলের, সিটির ৫৩।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।