পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে অন্যান্য জেলার মতো নেত্রকোনা জেলারও রয়েছে বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ ও অবদান। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ জেলার সহস্র শহীদের মধ্যে রয়েছেন এ এলাকার বিশিষ্ট কৃতী সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীরাও। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও ছবি সংবলিত স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ পেয়েছে তিনজনের। তারা হলেন- বর্তমান দুর্গাপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী ও নেত্রকোনা মহাবিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্রের জনপ্রিয় অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক সংগঠক শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আরজ আলী; মোহনগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ফজলুর রহমান খান; কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী ও তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ বুদ্ধিজীবী ফয়জুর রহমান আহমেদ। তাদের নিজ নিজ এলাকায় শুধু শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগদানকারীরা কদাচিৎ তাদের নাম উচ্চারিত হতে শোনেন। অথচ তাদের মতো আলোকিত দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্বের স্মৃতি-দেশপ্রেমিক ও আলোকিত সমাজ গঠনের প্রয়োজনে সদা জাগ্রত ও চিরভাস্বর করে রাখা অতীব প্রয়োজন। এদিকে নেত্রকোনাবাসীর অনেকদিনের স্বপ্ন ও আশা পূরণে ইতিমধ্যে নেত্রকোনা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‹শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়› এবং ‹নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ›। অত্যাবশ্যকীয়ভাবেই এ দুটি প্রতিষ্ঠানে নির্মিত হবে বিভিন্ন ভবন, হল-হোস্টেল ও মিলনায়তন। তাই প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, ওই তিনজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়, নেত্রকোনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।