২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সুন্দর হতে কে না চায়! ত্বকের যৌবন ধরে রাখা বা ফিরিয়ে আনলেই- তা সম্ভব। ইংরেজিতে একে বলা হয়- স্কিন রেজুভিনেশন। হাজার বছর ধরে মানুষের স্বপ্ন ও আক্সক্ষা-কিভাবে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায় এবং কিভাবে ত্বকের যৌবন ফিরিয়ে আনা যায়।
ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার প্রধানতম উপসর্জগুলো হলোÑ
* রিংকলস্্ : মুখে অসংখ্য ফাইনলাইনস্্ এবং কোর্স লাইনস। * ত্বক ঝুলে যাওয়া : মুখ ও গলার ত্বক ঝুলে যাওয়া। * ত্বকে স্পট : মুখ ও গলায় কালো স্পট, কালো দাগ, ব্রনের দাগ ও সূর্য রশ্মির দাগ। * ত্বকে শুষ্কতা : মুখের ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, ত্বকের মসৃনতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। * ত্বকে ছিদ্র : মুখের ত্বকে ছোট ছোট বা বড় বড় গর্তের সৃষ্টি * ত্বকে বয়সজনিত দাগ : ত্বকের অযতœ ও সূর্য রশ্মির আলো প্রধানততম কারণ।
চিকিৎসা : এজন্য অভিজ্ঞ ত্বক বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জনের শরণাপন্ন হতে হবে। হাতুড়ে ডাক্তারের কবলে পড়ে চিকিৎসা নেয়া কামনীয় নয়। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
আধুনিকতা : চিকিৎসাগুলো হলো : * মেসোথেরাপি ও স্টেমসেল থেরাপি * টপিক্যাল রেটিনয়িক এসিড * টপিক্যাল হাইড্রোকুইনোন (স্টরয়েডসহ বা স্টেরয়েড ছাড়া) * কেমিক্যাল পিলিং * বোটক্স থেরাপি * ফিলার থেরাপি * মাইক্রো ডারমাবরেশন * সাবসিশন * লেজার থেরাপি * রেডিও সার্জারি * ইলেক্ট্রোসার্জারি *পাঞ্চ-গ্রাফটিং * পাঞ্চকাটিং অ্যান্ড ফ্লোটিং * অক্সিটাচ থেরাপি।
প্রতিরোধ : * সূর্য রশ্মি এড়িয়ে চলা * সান-স্ক্রীন ব্যবহার করা * ওজন কমানো * ডায়াবেটিস ও বøাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ * পরিবেশের দূষণ এড়িয়ে চলা * সঠিকভাবে ত্বকের ম্যাসাজ করা *পরিমিত সবজি গ্রহণ * ক্রনিক রোগগুলোর চিকিৎসা নেয়া * সঠিক কসমেট্কিস ব্যবহার করা * অতিরিক্ত প্রসাধন এড়িয়ে চলা * প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করা * দৈনিক কমপক্ষে দু’বার মুখ ধোওয়া।
ত্বক যৌন, সেক্স ও এলার্জি বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন
সিনিয়র কনসালটেন্ট (এক্স),
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফোন : ০১৯৯০০০০১৯১।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।