নবাগের উত্তর রাজারামপুরে যৌতুকের দাবীতে জাহেদা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় স্বামী সোহেল (২৭) ও দেবর রুবেলকে (২৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টায় সোহেলকে ফেনীর ফুলগাজী ও রুবেলকে ট্রাংক রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৭ সেপ্টম্বর বৃৃহস্পতিবার উত্তর রাজারামপুর গ্রামে রাতে গৃহবধূ শাম্মির স্বামী আবুল হোসেনের পুত্র সোহেল ও ভাসুর ওয়াসিমের নেতৃত্বে পাশবিক নির্যাতন শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ভোর ৫ টায় নিহত গৃহবধূর লাশ দাগনভূঁঞা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে স্বামী সোহেল ও ভাসুর ওয়াসিম পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই মাহফুজুর রহমান ওইদিন দুপুরে দাগনভূঁঞা থেকে লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূ বিজবাগ ইউপির বালিয়াকান্দি গ্রামের সাহাব উদ্দিনের কন্যা। দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং ৫ মাস বয়সের ইশরাত জাহান মুনতাহা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকা নিয়ে প্রায়ই মারধর করতো। এ ঘটনায় শাম্মির চাচা আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সেনবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে আসামীরা ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে ছিলো। সেনবাগ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান আসামী সোহেল ফেনীর ফুলগাজীতে পালিয়ে একটি ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলো। আজ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।।