নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের বিপিএলে সবচেয়ে দূর্বল দলের তালিকা করলে উপরের দিকেই থাকবে খুলনা টাইটান্সের নাম। যদিও এই দলে পরীক্ষিত খেলোয়াড়ের অভাব নেই। তবে টি-টোয়েন্টি তারকা বলতে যা বোঝায় সেই মানের খেলোয়াড়ের কমতি যে কেউই স্বীকার করবেন। এর প্রমাণ মিলছে মাঠের পারফর্মান্সেই। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। যার সর্বশেষ সংযোজন বুধবার রাজশাহী কিংসের কাছে ৯ উইকেটের বিশাল পরাজয়। খুলনার বুকে সর্বশেষ ছুরি চালালেন খুলনারই ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বুদ্ধিদীপ্ত ৫১ রানের কাছেই তো হেরে গেল খুলনা।
মৌসুমের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডাসেৃর বিপক্ষে ১৭০ রানের লক্ষ্যে ৯০ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও ৮ রানের পরাজয় খুলনার ব্যাটিং দূর্বলতাকেই ইঙ্গিত করে। কিন্তু এক ম্যাচ দিয়ে তো আর সবকিছু বিচার করা যায় না। এক্ষেত্রে পরের ম্যাচ দুটির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে তারা শ্রেফ উড়ে যায় ১০৫ রানে। তাদের দলীয় সংগ্রহের চেয়েও পরাজয়ের ব্যবধানটা ছিল বড়! তৃতীয় ও এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ম্যাচেও সেই একই চিত্র। আগের দুই ম্যাচে টস জিতে বল বেছে নিয়ে পরাজয়ের কারণেই হয়ত তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট বেছে নেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দিন শেষে গল্পটা রইল একই। এদিনও ব্যাটিংয়ে চরম ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়ে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১১৭ রান।
মিরপুরের স্লো উইকেটে এই রানেও চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব। কিন্তু তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি তাইজুল-সুভাশিস-ওয়াইজদের নিয়ে গড়া খুলনার বোলিং বিভাগ। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মাদ হাফিজের উইকেটটি তাইজুল নিয়েছিলেন বটে কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হকের ৮৯ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করতে ৮জন বোলারের স্বরণাপন্ন হতে হয় মাহমুদউল্লাকে। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন অনিয়মিত বোলার পল স্টার্লিং। ৪৩ বলে মুমিনুল যখন ৪ বাউন্ডারিতে ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ফেরেন দল তখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে, মাত্র ১৮ রান দূরে। এসময় মিরাজের কাছে প্রত্যাশা ছিল ম্যাচ শেষ করে আসার। কিন্তু রাজশাহী দলপতি জহির খানের স্পিন পড়তে না পেরে বোল্ড হয়ে যান পিছন দিক দিয়ে। তার আগে মিরাজ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তার ৪৫ বলে ৫১ রানের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। ক্রিজে আসার পর থেকেই স্বস্তিতে ছিলেন না সৌম্য সরকার। এরপরও ইংলিশ অল রাউন্ডার লরি ইভান্সকে নিয়ে ৭ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য (১৭ বলে ১১)।
খুলনার ইনিংসে পঁচিশোর্ধো ইনিংস নেই একটিও। সর্বোচ্চ ২৩ রান জুনায়েদ সিদ্দিকির। এদিনও স্টার্লিং-জুনায়েদের ওপেনিং জুটিটা ছিল ৪০ রানের। বাকিদের মধ্যে চারজন দুই অঙ্কে পেঁছালেও কার্যকারী ইনিংস খেলতে পরেননি কেউই। ভিন্নভাবে বললে, খেলতে দেননি রাজশাহীর বোলররা। দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার পেস অল রাউন্ডার ইশুরু উদানা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ১৮ রানে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাকিরাও ছিলেন কার্যকারী। তারই ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়ে যায় রাজশাহীর রাজারা। প্রথম ম্যাচে তারা ৮৩ রানে হেরেছিল ঢাকার কাছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটান্স: ২০ ওভারে ১১৭/৯ (স্টার্লিং ১৬, জুনায়েদ ২৩, জহুরুল ১, মাহমুদউল্লাহ ১১, মালান ২২, আরিফুল ৪, ভিসা ১৪, তাইজুল ৮*, শরিফুল ১, শুভাশিস ০*; সানি ৩-০-১৯-১, হাফিজ ১-০-১৩-০, উদানা ৪-১-১৫-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-১৮-২, কায়েস ৪-০-২৪-১, মিরাজ ৩-০-১৯-০, সৌম্য ১-০-৬-১)।
রাজশাহী কিংস: ১৮.৫ ওভারে ১১৮/৩ (হাফিজ ৬, মুমিনুল ৪৪, মিরাজ ৫১, সৌম্য ১১*, ইভান্স ১*; শরিফুল ১-০-১১-০, তাইজুল ৩-০-২২-১, শুভাশিস ২-০-১৩-০, ভিসা ৩.৫-০-২৮-০, জহির ৪-০-১৮-১, মাহমুদউল্লাহ ২-০-১১-০ মালান ১-০-৬-০, স্টার্লিংন ২-০-৯-১)। ফল: রাজশাহী কিংস ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : ইশুরু ইদানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।