ইতিহাস গড়েই ফেললো বিরাট কোহলির ভারত। সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের ভবিষ্যৎবাণীকে মিথ্যে প্রমান করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো ভারত।
পন্টিং তার ভবিষ্যৎবাণীতে বলেন, ২-১ ব্যবধানে জিতবে তার দেশ অস্ট্রেলিয়া। শুধু পন্টিংই নন এমন কিছু ভেবেছিলেন অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারই। তাদের ভাবনাটা অবশ্য খুব একটা ফেলে দেওয়ার মতোও নয়। বিদেশের মাটিতে ভারতের বিগত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স ও ফলাফলই এমনটা ভাবতে বাধ্য করেছে।
কিন্তু সকল ভাবনাকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয় করলো কোহলিরা। চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের দিকে নিয়ে নেয় ভারত। শেষ ম্যাচ তাই অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিলো সমতায় ফেরার সুযোগ। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো নিজেদের মাটিতে ফলোঅনে লজ্জায় পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে হঠাৎ বৃষ্টি স্বাগতিকদের বড় হারের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়।
পুরো খেলা না হওয়ায় ম্যাচ ড্র ঘোষণা করে ম্যাচ রেফারি। আর এই সিরিজ জয় কোহলিকে তুলে নিলো ইতিহাসের পাতায়। তার অধীনেই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে টেস্ট সিরিজ জেতার গৌরব অর্জন করলো ভারত। এর আগে অজিদের মাটিতে ১১টি সিরিজ খেললেও কোনো সিরিজ জয় করতে পারেনি ভারত। সর্বোচ্চ সাফল্য ছিলো ১৯৮১ সালে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করা। এই জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের ৭১ বছরের জয়-খরারও সমাপ্তি ঘটল।
সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পুজারা এবং রিশাভ পান্তের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬২২ রান তোলে ভারত। জবাবে ৩০০ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে স্বাগতিকরা। সোমবার (৭ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪ ওভার ব্যাট করার পরই বৃহশ্তি বাধায় পড়ে ম্যাচ আর শেষ পর্যন্ত ড্র ঘোষণা করা হয় ম্যাচ।
সিডনি টেস্টেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি পুরো সিরিজজুড়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জেতেন চেতেশ্বর পুজারা। সবমিলিয়ে ৪ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিতে প্রায় ৭৫ গড়ে ৫২১ রান করেন তিনি।
অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট জিতেই ইতিহাস রচনা করে ভারত। এর আগে কখনোই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট জেতেনি তারা।