নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চিটাগং ভাইকিংসের কাছে হেরে আসর শুরু করা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের দুর্দান্ত প্রত্যবর্তনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সকে ৮ রানে হারিয়েছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তোজার দল।
মিরপুরের স্লোড উইকেটে লড়াইয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্যটা সহজ নয়। কিন্তু উদ্বোধনী জুটিতে যদি আসে ৯০ রান তাহলে সেটা সহজ হয়ে যায় বৈকি। সেই কাজটাই করে দিয়ে যান খুলনার দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দিক। কিন্তু এমন শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি খুলনা। আরিফুল-মাহমুদউল্লাহ-জহুরুলরা রান তোলায় বলের সঙ্গে সেভাবে পাল্লা দিতে পারেননি। কার্লোস ব্রাফেট ক্রিজে নামলেও সেভাবে স্ট্রাইক পাননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাই ৫ উইকেটে ১৬১ রানে থেমে যায় কুলনার ইনিংস। এর আগে টস হেরে রেইলি রুশোর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ১৬৯ রান করে রংপুর।
শেষ ১২ বলে খুলনার দরকার ছিল ৩০ রান। শফিউল ইসলাম এসে ৩ ওয়াইড ও এক বাউন্ডারির পরও দেন ১০, বিনিময়ে তুলে নেন আরিফুল হকের উইকেট। ফরহাদ রেজার করা শেষ ওভারে ২০ রানের হিসাবটা মেলাতে পারেননি কার্লোস ব্রাফেট ও জহুরুল ইসলাম। জহুরুল অপরাজিত থেকে যান ৮ বলে ১২ রান করে, ব্রাফেট ৪ বলে ৬*। খুলনা বড় ধাক্কা খায় দুই সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ (১৭ বলে ২৪) ও আরিফুলের (১৩ বলে ১২) আউটে। মাহমুদউল্লাহকে মাশরাফীর দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন ফরহাদ রেজা। তবে স্টার্লিংকে সরাসরি বোল্ড করে আসল কাজটি করেন দলপতি মাশরাফী। খুলনার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ১০৩। ৪৬ বলে ১ ছয় ও ৮ চারে ৬১ রান আসে আইরিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে। দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে জুনায়েদের (৩০ বলে ৩৩) বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
এর আগে রংপুরের শুরুটা এদিনও ভালো হয়নি। এদিনও ১৩ বলে ৫ রান করে ফেরেন মেহেদি মারুফ। অ্যালেক্স হেলস ও মোহাম্মদ মিথুন আউট হন থিতু হয়ে। তবে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে রংপুরকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রাইলি রুশো। চতুর্থ উইকেটে রবি বোপারাকে নিয়ে ১০.১ ওভারে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১০৪ রানের জুটি। শুরুতে ৬৫ রানে ৩ উইকেট পড়ার ধাক্কা সামলাতে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন দুজনই। আলি খানকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার। এই ওভারে আসে ১৬ রান। সঙ্গে বোপারার সহায়তায় পরের দুই ওভারে ৩৮ রান তুলে সংগ্রহটা বাড়িয়ে নেন রুশো। ১৯তম ওভারে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৩ রান দেন পঞ্চগড়ে জন্ম নেওয়া ১৭ বছর বয়সী বোলার শরিফুল ইসলাম। তবে আলি খানের শেষ ওভারে ১৭ রান নিয়ে ভালো সংগ্রহই গড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।